শুক্রবার ১১২৭ পয়েন্ট পড়ে রেকর্ড পতন শেয়ার বাজারের

শুক্রবার সকালে বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে এক ঝটকায় এক হাজারেরও বেশি পয়েন্ট পড়ে যায় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সেনসেক্স। এক সময় তা ১১২৭ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়ায় ৩৫৯৯৩.৬৪ পয়েন্টে। সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় পতন হয়েনি শেয়ার বাজারে। দুপুরের পর অবশ্য কিছুটা সামলে নিয়ে ৩৬৪৮০ পয়েন্টে ওঠে সেনসেক্স। যদিও তা বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রায় ৬৪০ পয়েন্ট কম ছিল। গত ২৮ জুনের পর এই প্রথম ৩৬ হাজারের কম অঙ্কে নামল সেনসেক্স। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি এদিন পতন হয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ নিফটিরও। নিফটি এদিন ৩৬৭ পয়েন্ট পড়ে ১০৮৮৬ পয়েন্টে নেমে যায়। গত ১০ জুলাই এর পর এতটা পতন হল নিফটির। পরে অবশ্য কিছুটা সামলে নিয়ে ফের ১১ হাজারের কিছুটা উপরের অনকে পৌঁছোয় নিফটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিন শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে  মূলত ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক সেক্টরের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে যাওয়ায় এই পতন ঘটেছে। সর্বোচ্চ প্রায় ৩৪ শতাংশ পড়েছে ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার। মনে করা হচ্ছে, ইয়েস ব্যাঙ্কের সিইও রানা কাপুরকে আরবিআই  নিজের পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার ফলে তাদের শেয়ারে এর প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি, এদিন সানফার্মা ও ইনফোসিসের শেয়ারের পতন হয়েছে বেশ কিছুটা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আতঙ্কের জেরে বাজারে কোনও কারণে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়লে তা বেশ কিছুদিন চলে, আগামী কদিন শেয়ার মার্কেটের এরম উত্থান পতন জারি থাকবে।
তবে আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট সহ এশিয়ার অন্যান্য শেয়ার বাজারে কিন্তু এদিন উত্থানের গতি ছিল। পণ্য শুল্ক নিয়ে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ায় সম্ভবত তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এশিয়ার বিভিন্ন বাজারে। মনে করা হচ্ছে, ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অপরিশোধিত তেলের দাম কমানোর অনুরোধ করায় তার প্রভাব আগামী দিনে বাজারে পড়বে। এদিন টাকার মূল্য এক ডলারের তুলনায় ৭২ এর উপরেই ছিল।

Comments are closed.