সুব্রহ্মণ্যম স্বামী: জিএসটি একুশ শতকের সবচেয়ে বড় পাগলামি!

জিএসটি হল একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সেরা পাগলামি, মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে মন্তব্য রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর।
মোদী সরকারের এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদের পর ফের জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা শোনা গেল বিজেপি প্রবীণ এই বিজেপি সাংসদের মুখে। বুধবার হায়দরাবাদে একটি অনুষ্ঠানে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
ওই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের একাধিক আর্থিক নীতির সমালোচনা করেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর কথায়, যাঁরা দেশে লগ্নি করছেন তাঁদের পুরস্কৃত করা উচিত। মোদী সরকারকে একহাত নিয়ে স্বামী বলেন, জিএসটি নিয়ে লগ্নিকারীদের ভয় দেখাবেন না। এটা একবিংশ শতাব্দীর সেরা পাগলামি। তাঁর কথায়, জিএসটি নিয়ে বড়াই করেন প্রধানমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু অনেকেই এই কর ব্যবস্থার জটিলতার কারণে ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন। এই প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ টেনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, রাজস্থানের এক ব্যবসায়ী তাঁর কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই, সেখানে কম্পিউটারে কীভাবে জিএসটি ফর্ম আপলোড করব? স্বামীর কথায়, আমি বলেছি, এটা আপনার মাথায় আপলোড করুন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বলুন।
বুধবার স্বামী এও জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতকে সুপার পাওয়ার হতে গেলে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হতে হবে ১০ শতাংশ। মাঝেমধ্যে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেলেও, কংগ্রেস যে সব সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করেছিল, তারপরে দেশের আর কোনও উন্নতিই হয়নি। যদি বর্তমান পরিস্থিতির মতো দেশের বৃদ্ধি এগোয়, তা হলে চিনকে ছাপিয়ে যেতে আরও পঞ্চাশ বছর লাগবে। আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করতেও অর্ধ শতাব্দী লেগে যাবে মন্তব্য করেন ওই বিজেপি নেতা।

তিনি এও জানান, বর্তমান দেশের চাহিদা কমে আসার মূল কারণ হল মানুষের হাতে খরচ করার মতো অর্থই নেই। যার ফলে অর্থনীতি পিছিয়ে পড়ছে। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, দেশের দুর্নীতি রুখতে এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি জোরালো করতে হলে আয়কর তুলে দিতে হবে।

Comments are closed.