সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জের, শিক্ষকদের একদিনের বেতন কাটছে অসমের বিজেপি সরকার

রাজ্যের যে সব স্কুল শিক্ষক কাজের দিনে স্কুল কামাই করে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের একদিনের বেতন কাটা হবে বলে ঘোষণা করেছেন অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, যে সকল শিক্ষক সপ্তাহান্তে, ছুটির দিন বা ক্লাস শেষে প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাঁদের বেতন কাটা হচ্ছে না। তবে যাঁরা কাজের দিন ক্লাস কামাই করে প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বেতন কাটা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যুক্ত সকলের ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছেন না অসমের আন্দোলনকারী শিক্ষক সমাজ। তাঁদের বক্তব্য, বেতন কেটে আন্দোলন দমন করা যাবে না।
সিএএ নিয়ে গত প্রায় দু’মাস ধরে উত্তপ্ত অসম। নামাতে হয়েছিল সেনা। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়ে বেশ কয়েকজনের। পরিস্থিতি সামলাতে ও গুজব রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল অসমে। পরে আদালতের নির্দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বাধ্য হয় অসম সরকার। রাজ্যে এই সিএএ বিরোধী আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছেন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। পড়ুয়ারা পাশে পেয়েছেন শিক্ষকদের। আন্দোলনে পথে নেমে এসেছেন অসমের সংস্কৃতি জগত থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে পরপর দুবার অসম সফর বাতিল করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের মন পেতে এক নয়া সিদ্ধান্তও নিয়েছে অসমের বিজেপি সরকার। তারা জানিয়েছে, রাজ্যের ২০ হাজার পড়ুয়ারা, যাঁরা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে দূরে কোথায় পড়তে যান বা হস্টেলে থাকেন, তাঁদের বছরে সাত হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে। এ জন্য বাজেট বরাদ্দও করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তা চালু হবে। পাশাপাশি সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের ফের আলোচনায় বসারও আবেদন জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল।

 

Comments are closed.