২৬/১১ র ভয়াবহ স্মৃতির ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। মুম্বইয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস ২৬/১১ হামলার ১০ বছর পূর্ণ হল সোমবার। ২০০৮ সালের ২৬/১১ র জঙ্গি হানায় যুক্ত অপরাধীদের ধরতে পাকিস্তানকে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫ কোটি টাকা) ‘পুরস্কার’ ঘোষণা করল আমেরিকা। রবিবার আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পিও ঘোষণা করেন, ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে নৃশংস হত্যালীলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক পাকিস্তান। পোম্পিও বলেন, ২৬/ ১১ র জঙ্গি হানার ১০ বছর অতিক্রান্ত। অথচ এখনও জঙ্গি হানার মূল চক্রীরা ধরা পড়ল না। এই ঘটনা জঙ্গি হানায় নিহত মানুষদের পরিবারের পক্ষে পীড়াদায়ক ও অপমানজনক। অপরাধীদের ধরতে তিনি সব দেশকে একজোট হওয়ার বার্তা দেন। বিশেষত, পাকিস্তানকে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আটকাতে কড়া অবস্থান নিতে বার্তা দেন পম্পিও।
জঙ্গি হানার মূল চক্রীদের খোঁজ দিতে পারলে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, এই নিয়ে তৃতীয়বার জঙ্গি দমনে পুরস্কার ঘোষণা করল আমেরিকা। এর আগে লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজ মহম্মদ সইদকে ধরতে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। এছাড়া ওই সংগঠনের আর এক নেতা হাফিজ আবদুল রেহেমান মক্কিকে ধরতে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
২৬/১১-র জঙ্গিহানায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান পম্পিও।
২০০৮ সালের ২৬ শে নভেম্বর ১০ পাকিস্তানি জঙ্গি আরব সাগররের পথ ধরে প্রবেশ করে মুম্বইয়ে। তিন দিন ধরে নৃশংস হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। মারা যান ১৬৬ জন মানুষ। যাঁর মধ্যে ছিল ১৬ জন নিরাপত্তা রক্ষী। আহত হন বহু সাধারণ মানুষ। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।
জঙ্গিদের আটকাতে গিয়ে শহিদ হন এটিএস প্রধান হেমন্ত কারকারে, মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণণ, মুম্বইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অশোক কামতে ও ইন্সপেক্টর বিজয় সালসাকর।
জঙ্গিদের টার্গেট ছিল ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, হোটেল ওবেরয়, হোটেল তাজমহল , লিওপোল্ড ক্যাফে, কামা হাসপাতাল এবং নরিমান হাউস জিউস কমিউনিটি সেন্টার (যার নতুন নাম নরিমান লাইট হাউস)।
হত্যালীলার জড়িত একমাত্র অপরাধী আজমল কাসভ ধরা পড়ে পুলিশের হাতে। চার বছর পর ২০১২ সালের ২১ শে নভেম্বর ফাঁসি দেওয়া হয় লস্কর-ই-তৈবার ওই জঙ্গিকে।
Comments are closed.