রাজ্যে রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি রুখতে চালানো হবে ডিজিটাল নজরদারি, নেওয়া হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য

এবার রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি রুখতে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাজ্যের সব রেশন ডিলারের ওপর নজরদারি চালাবে খাদ্য ভবন। এই কাজের জন্য প্রচুর সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সূত্রের খবর, আগামী ১৬ অগাস্ট নতুন খাদ্য ভবনের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান খাদ্য ভবনের সামনেই এই নতুন খাদ্য ভবন তৈরির কাজ শেষের মুখে। সেই নতুন ভবন থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে রেশন ব্যবস্থায় নজরদারি চালানো হবে। নতুন খাদ্য ভবনে মন্ত্রী, উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের চেম্বার ছাড়া রেশন ব্যবস্থার নজরদারি করার জন্য বিশেষ বিভাগ থাকছে। সেখান থেকে প্রযুক্তির সাহায্যে খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা রাজ্যের রেশন ব্যবস্থায় নজরদারি চালাতে পারবেন।
রেশন ব্যবস্থার যাবতীয় তথ্য রাখার জন্য সার্ভার আনা হচ্ছে খাদ্য ভবনে। পাশাপাশি, রাজ্যে এখন প্রায় ২০ হাজার রেশন দোকানের মধ্যে ৯ হাজারের বেশি দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেলস (ইপিওএস) যন্ত্র চালু করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। উপভোক্তাদের ডিজিটাল কার্ড এই ইপিওএস যন্ত্রে স্ক্যান করালেই রেশন তোলার যাবতীয় তথ্য খাদ্য দফতরের সার্ভারে জমা পড়বে। রেশন ডিলাররা প্রতি মাসে কত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন, রেশন গ্রাহকদেররই বা কী পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে তার সব বিবরণ জমা পড়বে খাদ্য দফতরের সার্ভারে। এই হিসেবের ওপর ভিত্তি করেই রেশন ডিলারদের খাদ্য সামগ্রী ও কমিশন বরাদ্দ করবে সরকার। এর ফলে রেশন ব্যবস্থায় বহু দিন ধরেই যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তা অনেকাংশে দূর করা যাবে বলে মনে করছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। এই সার্ভার নজরদারির জন্য খাদ্য দফতরে নতুন কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে বলে খবর। পাশাপাশি, খাদ্য দফতরে যাঁরা নতুন ইন্সপেক্টরের পদে যোগ দিয়েছেন তাঁদেরকেও বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে।
সম্প্রতি সরকারি প্রকল্পে কাটমানি বা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি রুখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ বহুদিনের। সরকারিভাবে নানা পদক্ষেপ করেও পুরোপুরি দুর্নীতি ঠেকানো যায়নি। এবার আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে বদ্ধপরিকর হল রাজ্য সরকার।

Comments are closed.