২০০ টাকা ছিল প্রথম রোজগার! বলিউড স্টার নেহা কক্করের একসময়ের পারিশ্রমিক ছিল ৫০০ টাকা, এখন ৩ মিনিটের গানের জন্য কোটি কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন নেহা কক্কর

বলিউডে বর্তমানের গায়ক-গায়িকাদের মধ্যে প্রথম সারিতেই পরেন নেহা কক্কর। রোমান্টিক, ইমোশনাল কিংবা পার্টি সং যেকোনো ধরনের গানের ক্ষেত্রেই সাবলীল তিনি। তার গানে নেচে ওঠেন আট থেকে আশি। যেকোনো ধরনের পার্টিতেই তার গান মাস্ট। তিনি স্টেজে উঠলেই জমে যায় আসর। কিন্তু বলিউডের নেহা কক্কর হয়ে উঠতে থাকে অনেক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আজ সেই সাধারণ গায়িকা থেকে নেহা কক্কার হয়ে ওঠার লড়াইয়ের কথা জানাব আপনাদের।

একটা সময় ছিল যখন তিনি গান গেয়ে পারিশ্রমিক পেতেন ৫০০ টাকা। কিন্তু এখন ২-৩ মিনিটের গানের জন্য নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। ছোট থেকেই বড় গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু সংসারে ছিল চরম আর্থিক অভাব। তাই অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি নিজের দিদি ও ভাইয়ের সাথে ভজন গাইতেন। একটা সময় ঋষিকেশের একটি পুরনো বাড়িতে পরিবারের সকলের সাথে একই ঘরে থাকতেন। তবে একটা সময় স্বপ্নের খাতিরে চলে এসেছিলেন মুম্বাইতে।

মাত্র ১৪ বছর বয়সে অডিশন দিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান আইডলে। সেখানে তিনি প্রতিযোগী হিসেবে যোগদান করেন এবং সেই মঞ্চ থেকে জিতে ফেরেন। এরপর থেকেই তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ধীরে ধীরে পরিচিতি পেতে শুরু করেন তিনি। ২০০৮’এ ‘নেহা দ্য রকস্টার’ অ্যালবামের হাত ধরে মানুষের মধ্যে পরিচিতি আসে তার। তবে এর আগে তার দিদি সোনু কক্করের গাওয়া ‘বাবুজি যারা ধীরে চালো’ গানটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল দর্শকদের মাঝে, যার জন্য তাদের আর্থিক অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি ঘটেছিল।

যে মেয়েটা একটা সময় ভজন গেয়ে, পালা গান গেয়ে সবশেষে পারিশ্রমিক পেত ৫০০ টাকা, সেই মেয়েটাই আজকের সময় দাঁড়িয়ে ২-৩ মিনিটের গানের জন্য নিয়ে থাকেন ৮-১০ লাখ টাকা। কোন স্টেজ পারফর্ম্যান্স থাকলে দরবারে দ্বিগুণ। জায়গার ভিত্তিতে এবং অর্গানাইজেশনের ভিত্তিতে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে নেহা কক্করকে লোকে চেনেন এক ডাকেই। হাজারো ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়ে তারপরেই আজকের এই জায়গায় পৌঁছেছেন গায়িকা। এখন বর্তমান প্রজন্মের কাছে নেহা কক্কর মানেই হিট।

Comments are closed.