রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে চিঠি ২৫৯ জন মহিলার

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগের সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে চিঠি দিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২৫৯ জন মহিলা। ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করারও আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে।
আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, লেখিকা ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মহিলাদের দাবি, বিশেষ তদন্তকারী কমিটি গঠন করে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানির সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত। তাদের আরও দাবি, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রঞ্জন গগৈকে যেন সমস্ত অফিসিয়াল কাজ থেকে সরিয়ে রাখা হয়। এছাড়াও, অভিযোগকারিণী যেন তাঁর যথাযত আইনি সহায়তা পেতে পারেন সেই আবেদনও রাখা হয়েছে চিঠিতে।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগের তদন্ত করতে যে প্যানেল তৈরি হয়েছে তারও বিরোধিতা করেছেন মহিলারা। বিচার বিভাগীয় কমিটিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা ছাড়া বাইরের কোনও সদস্যকে কেন রাখা হয়নি, সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। চিঠিতে মহিলাদের আবেদন, ৩ মাসের মধ্যে এই অভিযোগের সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য যে তিন বিচারপতির প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল, সেখান থেকে বিচারপতি এন ভি রামানাকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যিনি যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন, সেই মহিলার দাবি, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর কাছের বন্ধু বলে পরিচিত বিচারপতি এন ভি রামানা। তাই অভ্যন্তরীণ তদন্তের প্যানেলে তিনি থাকলে তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি রামানা নিজেই প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।
অন্যদিকে, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠে আসছে তার তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এ কে পট্টনায়েককে। সিবিআই ও আইবির প্রধান এবং দিল্লির পুলিশের প্রধানকে এই তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Comments are closed.