১০ এপ্রিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১১ আসনে ভোট, ২০১৬, ২০১৯ এর ফলাফল কী ছিল?

চতুর্থ দফাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণাতে শেষ ভোটগ্রহণ। এর আগে দ্বিতীয় দফায় ৪টি আসন ও তৃতীয় দফায় ১৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। চতুর্থ দফায় বাকি ১১ আসনে ভোটগ্রহণ। শনিবার এই জেলার সোনারপুর দক্ষিণ, সোনারপুর উত্তর, ভাঙড়, কসবা, যাদবপুর, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, মহেশতলা, টালিগঞ্জ, বজবজ এবং মেটিয়াব্রুজ আসনে ভোট হবে।

একনজরে দেখে নেব এই আসনগুলিতে ২০১৬ আর ২০১৯ এর ফলাফল কী ছিল?

সোনারপুর দক্ষিণ আসনে ১৬ এর ভোটে তৃণমূলের জীবন মুখার্জি জেতেন। ১৯ এর লোকসভায় ২৫ হাজারের লিড আছে তৃণমূলের।
এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা লাভলী মৈত্র। বিজেপির টিকিটে মাঠে নেমেছেন অভিনেতা অঞ্জনা বসু। সিপিআই প্রার্থী শুভম ব্যানার্জি।

সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রে ১৬ সালে জেতেন তৃণমূলের ফিরদৌসি বেগম (১,০১,৯৩৯)। ২০১৯ লোকসভার পর ৩৩ হাজারের ব্যবধান বাড়িয়েছে তৃণমূল।
এবারও তৃণমূল প্রার্থী ফিরদৌসি বেগম। সিপিএমের মোনালিসা সিনহা আর বিজেপি প্রার্থী রঞ্জন বৈদ্য।

ভাঙর বিধানসভায় ২০১৬ সালে জেতেন তৃণমূলের আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। লোকসভার পর তৃণমূল ১ লক্ষ ১১ হাজার ৯৬৫ ভোটে এগিয়ে আছে।
এবার ভাঙরে বিজেপি প্রার্থী সৌমি হাতি। আইএসএফের প্রার্থী নওসাদ সিদ্দিকি আর তৃণমূল প্রার্থী ডাক্তার রেজাউল করিম।

২০১৬ সালে কসবা বিধানসভায় জেতেন তৃণমূলের জাভেদ খান। সেকেন্ড সিপিএমের শতরূপ ঘোষ। ২০১৯ সালের পর তৃণমূল ৩৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে।
এই কেন্দ্রে তৃণমূল ভরসা রাখছে জাভেদ আহমেদ খানের উপর। সিপিএম প্রার্থী শতরূপ ঘোষ। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন ডঃ ইন্দ্রনীল খাঁ।

যাদবপুর কেন্দ্রে ১৬ সালে জিতেছিলেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। ২০১৯ লোকসভার পর ১২ হাজারের লিড নিয়েছে তৃণমূল।
এবারও সুজনেই ভরসা সিপিএমের। তৃণমুল প্রার্থী দেবব্রত (মলয়) মজুমদার আর বিজেপির টিকিটে লড়ছেন সদ্য সিপিএম ছেড়ে যাওয়া রিঙ্কু নস্কর।

বেহালা পূর্ব আসনে ২০১৬ সালে জেতেন তৃণমূলের শোভন চ্যাটার্জি। বর্তমানে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান অজানা। এখানে তৃণমূল এগিয়ে আছে ২৬ হাজারের বেশি ভোটে।
এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী রত্না চ্যাটার্জি। বিজেপি প্রার্থী অভিনেতা পায়েল সরকার আর সিপিএম প্রার্থী শমিতা হর চৌধুরী।

২০১৬ এর ভোটে বেহালা পশ্চিম আসনে জেতেন পার্থ চ্যাটার্জি। ১৯ এর লোকসভার পর এখানে ১৫ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল এগিয়ে।
এখানে এবারও তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চ্যাটার্জি। বিজেপির অভিনেতা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি আর সিপিএমের হয়ে লড়ছেন নীহার ভক্ত।

২০১৬ সালে মহেশতলা আসনে তৃণমূলের কস্তূরী দাস জেতেন। তাঁর মৃত্যুতে উপনির্বাচনে স্বামী দুলাল দাস জেতেন। লোকসভার পর প্রায় ২৯ হাজার লিড আছে তৃণমূলের।
এই আসনে দুলাল দাসের ওপরই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। সিপিএমের হয়ে লড়ছেন প্রভাত চৌধুরী আর বিজেপি প্রার্থী উমেশ দাস।

টালিগঞ্জ বিধানসভায় ২০১৬ সালে জয়লাভ করেন তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাস। ২০১৯ লোকসভায় প্রায় ২০ হাজার ভোটে এগিয়ে তৃণমূল।
এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ বিশ্বাস। সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ আর বিজেপির প্রার্থী আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।

বজবজ আসনে ২০১৬ সালে তৃণমূলের অশোক দেব জিতেছিলেন। লোকসভায় প্রায় ৫৭ হাজার ভোটে লিড করছে তৃণমূল।
অশোক দেব এবারও লড়ছেন তৃণমূলের টিকিটে। কংগ্রেস প্রার্থী মুজিবর রহমান আর বিজেপি প্রার্থী তরুণ আদক।

মেটিয়াব্রুজে ২০১৬ সালে জিতেছিলেন তৃণমূলের আব্দুল খালেক মোল্লা। ২০১৯ লোকসভায় ৮৭ হাজার ভোটের লিড আছে তৃণমূলের।
এবারও আবদুল খালেক মোল্লার উপরই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। আইএসএফের প্রার্থী নুরুজ্জামান। বিজেপির টিকিটে লড়াই করছেন রামজী প্রসাদ।

Comments are closed.