মরসুমের শীতলতম দিন, কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি, দিল্লি ২.৪ ডিগ্রি, শ্রীনগরে মাইনাস ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কেটে যাওয়ার পরই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা। শনিবার মরসুমের শীতলতম দিন কলকাতায়। এদিন কলকাতার তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার আরও ১ ডিগ্রি পারদ নেমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি হওয়ার সম্ভাবনা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়ও তীব্র ঠান্ডা ও শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
কোচবিহারে শনিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি, জলপাইগুড়ির পারদ নেমেছে ৭ ডিগ্রিতে। দার্জিলিঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্যতে নেমে এসেছে। শুক্রবার দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১.৬ ডিগ্রি, সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। এদিনও রাজ্যের শৈল শহরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। পূর্ব মেদিনীপুরে ৯ ডিগ্রি, নদিয়ায় ৮ ডিগ্রি, মালদায় ৯ ডিগ্রিতে নেমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.১ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯.৯ ডিগ্রি, সেটাও স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ও উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাব কাটতেই ডিসেম্বরের শেষে চেনা ছন্দে শীত।
এদিকে কুয়াশার চাদর আর শৈত্যপ্রবাহে জুবুথুবু উত্তর ভারত। রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা নেমেছে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯০১ সালের পর ডিসেম্বরে এত নীচে নামেনি দিল্লির পারদ। বস্তুত শনিবার দিল্লিতেও মরসুমের শীতলতম দিন। শনিবার সকাল থেকে বেশ কয়েকটি উড়ান বাতিল হয়েছে দিল্লিতে। ট্রেনও চলছে দেরিতে। আরও কয়েকদিন দিল্লিতে এই তীব্র ঠান্ডা বজায় থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। এছাড়া পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ- উত্তর ভারতের সর্বত্রই চলছে উত্তুরে হাওয়ার দাপট।
হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড বরফ পড়া শুরু হয়েছে। শ্রীনগরে শুক্রবার রাত থেকে তাপমাত্রা নেমেছে -৫.৮ ডিগ্রিতে। যা এই মরসুমের শীতলতম রাত। কুফরি, মানালি, সোলান, ভুন্টার, কালপাত ইত্যাদি অঞ্চলে আগামী কয়েকদিন তুষারপাত আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
Comments are closed.