করোনা আর তার সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন, এই ধাক্কায় দেশের লক্ষ মানুষের জীবিকায় কোপ পড়েছে। নতুন করে কর্মী নিয়োগেও অনীহা প্রকাশ করছে বিভিন্ন সেক্টর। সম্প্রতি Naukri.com JobSpeak জানাচ্ছে, গত বছরের মে মাসের তুলনায় ২০২০ সালের মে মাসে কর্মী নিয়োগ কমেছে ৬১ শতাংশ। Naukri.com JobSpeak Index জানাচ্ছে, এই নিয়ে টানা দু’মাস বিভিন্ন সেক্টরে কর্মী নিয়োগ ৬০ শতাংশ কম হল।
কোন কোন সেক্টরে নিয়োগ কম?
সংশ্লিষ্ট সমীক্ষায় প্রকাশ, চলতি বছরের মে মাসে হোটেল, রেস্তরাঁ, পরিবহণ, এয়ারলাইন্স ক্ষেত্রে গড়ে ৯১ শতাংশ হারে কমেছে কর্মী নিয়োগ। এছাড়া রিটেলে ৮৭ শতাংশ, অটোমোবাইল সেক্টরে ৭৬ শতাংশ, ব্যাঙ্কিং, ফিনান্স ও ইন্সিওরেন্স সেক্টর (BFSI) এ ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়োগ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া প্রতিটি সেক্টরেই কর্মী নিয়োগের হার ঋণাত্মক বা নেগেটিভ।
শহরভিত্তিক কাজের বাজারে গড়ে ৫০ শতাংশ হারে কর্মী নিয়োগ কমেছে বলেও জানাচ্ছে এই সমীক্ষা। মেট্রো সিটিগুলির মধ্যে কলকাতায় ৬৮ শতাংশ, দিল্লি এবং মুম্বইয়ে ৬৭ শতাংশ কর্মী নিয়োগ কমেছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কাজের বাজারে এই চাকরির সঙ্কোচনে সবার প্রায় একই অভিজ্ঞতা। গত মে মাসে এন্ট্রি লেভেল থেকে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীদের চাহিদা ৬৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
লকডাউনের মধ্যে বেড়েছে চাকরির বাজারে নিজেকে উপযোগী করার চেষ্টা: কর্মী নিয়োগের এই আকালের মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল যুব সম্প্রদায়ের প্রবল চেষ্টা। চাকরির বাজারে নিজেদের প্রস্তুত করতে এই লকডাউনের মধ্যে তাঁরা নিরবিচ্ছিন্ন প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন। Naukri.com JobSpeak এর সমীক্ষা বলছে, কর্মী নিয়োগ ৬১ শতাংশ কমে গেলেও ৫০ শতাংশের বেশি চাকরি প্রার্থী লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্কিল বাড়িয়ে নিচ্ছেন। প্রায় ৫০ হাজার চাকরিপ্রার্থীর উপর চালানো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ডেটা সায়েন্স ও অ্যানালিটিক্স কোর্স, ডিজিট্যাল মার্কেটিং, ফিনান্স এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা সবচেয়ে বেশি।
প্রসঙ্গত, প্রতি মাসে Naukri.com ওয়েবসাইটে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা নিয়ে তাঁদের নিয়োগের হার এবং চাকরির বাজারের একটি হিসেব রাখে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তবে এই সমীক্ষা চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ এবং ক্যাম্পাস প্লেসমেন্টকে হিসেবের বাইরে রাখে।
Comments are closed.