বাঁকুড়ার দাঁড়িয়ে বোমা ফাটালেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সংগঠনের সভায় তাঁর মন্তব্য, ২০১৯ লোকসভা ভোটে সিপিএমের অনেকে বিজেপিকে সাহায্য করেছিলেন। গত লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮ টি আসন জিতেছে বিজেপি। ১০ শতাংশ থেকে বিজেপির ভোট বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪১ শতাংশ। তৃণমূলের অভিযোগ, বাম ভোট রামে ট্রান্সফার হয়েছে। যদিও আলিমুদ্দিন বরাবর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
বাঁকুড়ায় দলীয় সভায় অমিত শাহ যেভাবে প্রকাশ্যে বাম ভোট রামে ট্রান্সফারের তৃণমূলের তত্ত্বে সিলমোহর লাগালেন তারপর বিড়ম্বনা বেড়েছে সিপিএমের। স্বভাবতই বিরোধীদের কোণঠাসা করার সুযোগ ছাড়েনি তৃণমূল।
গত লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির দুরন্ত পারফর্মেন্স বদলে দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী রাজনীতির ভরকেন্দ্র। আলিমুদ্দিন-বিধান ভবন নয় বরং মুরলীধর সেন লেনকে ঘিরে এখন বাংলার বিরোধী রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে। এই অবস্থায় তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্বের নীতি নিয়ে বাম-কংগ্রেস জোট করে তেড়েফুড়ে ভোটের ময়দানে নামছে। জোটের নেতাদের আশা ঘরে ফিরবে আশাভঙ্গ হয়ে গেরুয়া শিবিরে চলে যাওয়া ভোটারদের একটা বড়ো অংশ। বিজেপি ফিরবে আগের অবস্থায়।
বিজেপিও চুপ করে বসে নেই। বাঁকুড়ার সভা থেকে অমিত শাহের এই উক্তিতে তা স্পষ্ট। বামে মোহভঙ্গ হওয়া ভোটার, যাঁদের সমর্থন বিজেপি লোকসভায় পেয়েছিল, তাঁদের আরও কাছে টানার প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে বলে গিয়েছেন অমিত শাহ। পাশাপাশি অন্যদলের নেতা কর্মীদের সঙ্গেও তলে তলে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
গোটা ঘটনায় তৃণমূলের কটাক্ষ, লোকসভায় বিজেপির সাফল্য যে একা বিজেপির নয়, তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গেল।
Comments are closed.