‘লড়াইয়ের ময়দানে দেখা হবে, রাজনৈতিক যুদ্ধে দেখা হবে’, নন্দীগ্রাম সমাবেশ থেকে তৃণমূলকে বার্তা শুভেন্দুর
১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে অপারেশন সূর্যোদয়ের বার্ষিকীতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে কি তৃণমূলকেই বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী? রাজ্যের পরিবহণ ও সেচ, জলসম্পদ মন্ত্রী এবং নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুকে নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে নানারকম জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এসব জল্পনার মাঝেই তৃণমূলের ব্যানার ছাড়াই নিজস্ব কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি আয়োজিত স্মরণসভায় শুভেন্দু বললেন, ভুমি উচ্ছেদ কমিটির টাকায় এই শহিদ স্মরণ সমাবেশ। এই মঞ্চে রাজনীতি করতে আসিনি। ২০০৭ সালের ৩ রা জানুয়ারি থেকেই ১০ নভেম্বর সিপিএমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি যে কর্মসূচি নিয়েছে তা পালন করতে এসেছি। এরপরেই শুভেন্দুর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, যাঁরা আজ নন্দীগ্রামে আসছেন, তাঁরা ভোটের পর আসবেন তো? তিনি বলেন, আমার চলার পথ কোথাও উঁচুনিচু, কোথাও এবড়ো-খেবড়ো, কোথাও মসৃণ। সেই সব নিয়েই ভবিষ্যতে যে কর্মসূচি নেব তা রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, এদিনই বিকেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামে নেওয়া হয়েছে কর্মসূচি। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু মিশ্রর। এই সভাতে শুভেন্দু চাইলে থাকতে পারেন বলে বার্তা দিয়েছিলেন ফিরহাদ। তবে শুভেন্দু সেখানে উপস্থিত থাকছেন না বলেই জানা গিয়েছে। বরং এদিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারের অরাজনৈতিক সভা থেকে কারও নাম না করে শুভেন্দুর কটাক্ষ, আজ যাঁরা নন্দীগ্রামে ছুটে আসছেন, ভোটের পরে আসবেন তো?
এদিনের সমাবেশ থেকে নতুন করে জল্পনা তৈরি হল শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। সব মিলিয়ে তাঁর এদিনের মন্তব্য, বিশেষত, ‘রাজনীতির ময়দানে দেখা হবে’ বলে যে হুঁশিয়ারি দিলেন তা কেন দিলেন এবং তার লক্ষ্য কি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বই? তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
Comments are closed.