সিবিআইয়ের ভয়, নিজের টাকা বাঁচাতে আর টিকিট পাবে না জেনে অনেকে দল ছাড়ছে! শুভেন্দু সহ বিক্ষুব্ধদের বার্তা মমতার
‘আপনারা হাঁটুজলে নামলে আমি মাথাজলে নামব। ডুবলে আমি ডুবব, আপনাদের ডুবতে দেব না। কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান সভা থেকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির।
২০১৯ এর লোকসভা ভোটে কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গ থেকে একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। সারা উত্তরবঙ্গে একরকম দাপটের সঙ্গেই জয়লাভ করেছে বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপিকে ঠেকাতে উত্তরবঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার কোচবিহারের সভা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার আবেদন করলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘সব বর্গিগুলো চলে এসেছে। জোট বাঁধুন, তৈরি হন। আপনারা হাঁটুজলে নামলে আমি মাথাজলে নামব। ডুবলে আমি ডুবব, আপনাদের ডুবতে দেব না।’
এদিনের সভা থেকে মমতার মুখে একাধিকবার উঠে এসেছে লোকসভা ভোটের কথা। তাঁর অভিযোগ, এখন যাঁরা দল ছাড়ছেন, কেউ নিজের টাকা বাঁচাতে, আবার কেউ ভোটে টিকিট পাবে না এই আশঙ্কায়। মমতার কথায়, ভালো কাজ করলে ভোটের টিকিট পাবেন। কিন্তু জেলে যাওয়ার ভয়ে আর টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কায় অনেকে দলবদল করছে। কিন্তু আমি জেলে যেতে ভয় পাই না। তিনি আরও বলেন, তাঁর সরকার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। কথা দিলে কথা তা রক্ষা করতে প্রয়োজনে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতেও কার্পণ্য করবেন না বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরই বিজেপিকে হঠাতে দলের নিচুতলার কর্মীদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলেন মমতা। বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে বাঙালির সংস্কৃতি, কৃষ্টি গুঁড়িয়ে যাবে। একইসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমের একাংশকেও একহাত নেন তিনি। বলেন, সারাদিনে দশ বার বিজেপি নেতাদের খবর প্রচার করা হলেও তৃণমূলকে একবারও দেখানো হয় না। মমতার কথায়, এতে অবশ্য মিডিয়ারও দোষ নেই। মোদী সরকার দেশের মিডিয়াকে কিনে নিয়েছে। এরপরেই মমতার ঘোষণা, সংবাদমাধ্যমের নেতিবাচক প্রচারে নজর না দিয়ে নিজের মাটিকে চিনুন তৃণমূল কর্মীরা। সভার শেষভাগে মমতার নির্দেশ, সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন, দলে কোনও বিভেদ চলবে না।
Comments are closed.