শীতের পাহাড়ে গলল বরফ! বিবাদ ভুলে তৃণমূলকে জেতানোই লক্ষ্য, বলছেন বিমল গুরুং-বিনয় তামাং
রোশন গিরি জানান, ‘তৃণমূলকে জেতানোই আমাদের লক্ষ্য’
দার্জিলিং পাহাড়ে এখনও হাড় হিম করা শীত। কিন্তু এর মধ্যেই বরফ গলছে বিনয়-বিমল শিবিরের মধ্যে। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছিল পাহাড় সহ উত্তরবঙ্গে। তাই এবার পাহাড়কে পাখির চোখ করে একুশের ভোট যুদ্ধে নেমেছে তৃণমূল। কিন্তু সেখানে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং শিবিরের কাজিয়া। দীর্ঘ দৌত্যের পর আপাতত পাহাড়ে শান্তির বাতাবরণ।
সুত্রের খবর তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে আসন রফায় সম্মত হয়েছে যুযুধান বিনয় ও বিমল শিবির। রফা হয়েছে পাহাড়ের তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতে প্রার্থী দেবে বিনয় তামাংরা এবং একটিতে প্রার্থী দেবেন বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা।
বিনয় তামাং শিবিরের সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা বলেন, ‘আমরা তৃণমূলের সঙ্গে জোটে রয়েছি। মিলেমিশেই ভোটে লড়াই করব’। অন্যদিকে বিমলপন্থী মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানান, ‘তৃণমূলকে জেতানোই আমাদের লক্ষ্য’।
বেশ কিছুদিন ধরেই মোর্চার দুই শিবিরের কাজিয়ায় জেরবার হয়ে উঠেছিল তৃণমূল। সুযোগ কাজে লাগিয়েছিল বিজেপি। যার ফলাফল লোকসভা ভোটে স্পষ্ট দেখা যায়। তামাং শিবির তৃণমূলের পাশে থাকলেও বিজেপির জয় ঠেকানো যায়নি।
একসময় বিমলকে পাহাড়ে উঠতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিনয় তামাং অনুগামীরা। উলটোদিকে বিমল গুরুংকেই পাহাড়ের নেতা মানতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন রোশন গিরি। ফলে জটিলতা তৈরী হচ্ছিল। দুই শিবিরের মধ্যে বিবাদ মেটাতে আসরে নামেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। সূত্রের খবর এরপর কৌশল বদল করে তৃণমূল। দুই পক্ষকে নরমে-গরমে বোঝানোর পালা শুরু হতেই নরম মনোভাব নেয় গুরুং এবং বিনয় তামাং শিবির। আসন সমঝোতায় রাজি হয় দুই শিবির।
সূত্রের খবর, কার্শিয়াং ও কালিম্পং আসনে নিজেদের প্রার্থী দেবে বিনয় তামাং গোষ্ঠী। বিমল গুরুং শিবিরের জন্য দার্জিলিং আসনটি ছাড়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিনয় তামাং গোষ্ঠীর দাপট কেবল দার্জিলিং পাহাড়েই সীমাবদ্ধ। কিন্তু গুরুংপন্থীরা তরাই-ডুয়ার্সের অন্তত ১৪-১৫ টি আসনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে। বিমল গুরুং শিবিরের দাবি, তৃণমূল পাহাড়ের ৩ টি ছাড়াও তরাই-ডুয়ার্সের আসনেও সহজে জয় পাবে। বাস্তবে কী হয় সেটাই এখন দেখার।
Comments are closed.