পুরুলিয়াকে বলা হয় রহস্যময় সৌন্দর্য্যে মোড়া একটি শহর। যার প্রান্ত প্রান্তরের ছড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতির সৌন্দর্যতা, অধরা উপজাতির লোকসংস্কৃতি, পৌরাণিক ইতিহাস এবং স্থানীয় মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যেখানে রয়েছে ঝর্ণার জলরাশি, সেখানেই দেখা যায় সিঁদুর রাঙা পলাশ, অনুভব করা যায় পাহাড়ি জঙ্গলের রোমাঞ্চ। কথায় বলে, শরতের আগমনে প্রকৃতি পুরুলিয়ার ভূমিতে বিছিয়ে দেয় সাদা কাশফুলের চাদর। তেমনি আবার বসন্তের রোদে গাছের ডালে ডালে ফুটে ওঠে লাল পলাশ।
পলাশকে বলা হয় বসন্তের অগ্রদূত। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে পুরুলিয়ায় পলাশ ফুল দেখতে পাওয়া যায়। যা ওই জায়গার সৌন্দর্যকে হাজার গুণ বাড়িয়ে তোলে। তাই লাল পলাশ আর রাঙামাটির ছোঁয়ায় পুরুলিয়া হয়ে ওঠে “লাল পৃথিবী”।
পুরুলিয়া শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই বিখ্যাত নয়, এখানকার “ছৌ নাচ” লোকসংস্কৃতি একটি আইকন।
টুরিস্ট স্পট: অযোধ্যা পাহাড়, জয়চন্ডী পাহাড়, চন্ডীল ড্যাম, চারীদা গ্রাম (ছৌ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত)।
শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে আপনাদের আদর্শ গন্তব্য হবে পুরুলিয়া। মার্চ মাসে রক্তরাঙ্গা পলাশে পুরুলিয়ার সৌন্দর্য দ্বিগুণ হলেও মালভূমি প্রকৃতির এলাকা হওয়ার কারণে স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি তাপমাত্রা থাকে। সপ্তাহ শেষে দুদিনের জন্য ঝর্না-জঙ্গল-পাহাড়ের রোমাঞ্চকে একসঙ্গে উপভোগ করতে ঘুরে আসুন লাল পাহাড়ি পুরুলিয়ায়।
পুরুলিয়ায় যেতে গেলে সড়ক এবং রেলপথ দুইয়েরই সুলভ ব্যবস্থা রয়েছে।
গাড়ি: গাড়িতে যেতে হলে NH19,(Via Durgapure), NH 14(Via Kharagpur) এই দুটি সড়ক পথ ব্যবহার করতে পারেন।
ট্রেন: ট্রেনে যেতে হলে হাওড়া থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেস, রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস, লালমাটি এক্সপ্রেস ইত্যাদি পছন্দ রয়েছে। পুরুলিয়ায় নেমে প্রথমেই জয়চন্ডী পাহাড় থেকে ভ্রমণপথ শুরু করুন। পরের দিন সকালে টিফিন করে বেরিয়ে পড়ুন অযোধ্যা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। সেখানে কাছাকাছি দেখতে পাবেন বাগমুন্ডি, চারিদা গ্রাম, চন্দলি ড্যাম। চারিদা গ্রামে লোক নৃত্য ছৌ নাচের মুখোশ তৈরি করা হয়। তৃতীয় দিন আশেপাশে ঘুরে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিন।
Comments are closed.