‘সবুজশ্রী’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, কোপেনহেগেনে বিশ্ব মহানাগরিক সম্মেলনে সমাদৃত মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্প

‘কন্যাশ্রী’, ‘উৎকর্ষ বাংলা’, ‘সবুজ সাথী’র পর বিশ্বমঞ্চে সমাদৃত হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও একটি প্রকল্প। কোপেনহেগেনের বিশ্ব মহানাগরিক সম্মেলনে পরিবেশ দূষণ রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সবুজশ্রী’ প্রকল্পকে সম্মনিত করা হল।
একটি গাছ কেবল পরিবেশ রক্ষা বা অক্সিজেন দেয় না, একটি পরিবারকে স্বনির্ভর করার পিছনেও তার ভূমিকা থাকে। এই ভাবনা থেকেই সবুজশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে কোনও শিশু জন্ম নেওয়ার পর তার মায়ের হাতে একটি মেহগনি গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গত শুক্রবার বিশ্ব মহানাগরিক সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তৃণমূল সরকারের এই প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, শেষ কয়েক বছরে রাজ্য জুড়ে ২ লক্ষেরও বেশি গাছ লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী সবুজশ্রী প্রকল্প চালু করে পরিবেশ সচেতনতার পাশাপাশি স্বনির্ভর হওয়ার পথেও এক নয়া দিশা দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে স্বল্প বাজেটে কীভাবে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও জল সংরক্ষণের প্রকল্প করা হচ্ছে, বিশ্বমঞ্চে তা তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মেয়ররা এই সীমিত বাজেটে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, জল সংরক্ষণের পাশাপাশি স্বনির্ভর করার প্রকল্প নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। এছাড়া মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত গ্রিন ক্যালকাটা, ক্লিন ক্যালকাটা অথবা জল ধরো জল ভরোর মত পরিবেশমুখী প্রকল্প নিয়েও কোপেনহেগেনের মঞ্চে আলোকপাত করেন কলকাতার মেয়র। কার্বনমুক্ত শহর গড়ার জন্য কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হাতে বিশেষ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর ‘উৎকর্ষ বাংলা’ ও  ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার ডেনমার্কে বিশ্ব মহানাগরিক সম্মেলনে ভূয়সী প্রশংসা পেল মমতার সবুজশ্রী প্রকল্প।

Comments are closed.