শিলিগুড়িতে হার এক সময়ের গুরু-শিষ্যের; মানুষ রাজনৈতিক ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, বললেন অশোক ভট্টাচার্য  

বর্তমানে দু’জন দুই শিবিরের হলেও রাজ্য রাজনীতিতে তাঁদের সম্পর্ক গুরু-শিষ্যের। কিন্তু ২০২২-এর পুরভোটে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীই পরাজিত হলেন। বিধানসভা ভোটে হারের পর অবসর ঘোষণা করেছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বাম জমানার দাপুটে মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। কিন্তু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একটি ফোনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। শিলিগুড়ি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন অশোক ভট্টাচার্য। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি এই ওয়ার্ডের কাউন্সলির ছিলেন। কিন্তু গণনা শেষে দেখা গেল, ৫১০ ভোটে হেরেছেন পুর-রাজনীতির বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। 

হারের পর এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের পলিটিক্যাল রিজেকশন হয়েছে। তবে কমিউনিস্ট পার্টি করি।হতাশায় ডুবে গিয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে কার্যত আত্মবিশ্বাসী দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সিপিমের ফল ভালো না হলেও অশোক ভট্রাচার্য হেরে যাবে, এটা অনেকেই ধারণা করতে পারেনি। 

এদিকে বিধানসভা ভোটে প্রায় সব ওয়ার্ডে এগিয়ে থাকলেও শিলিগুড়ি পুরভোটে ৫ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি। শংকর ঘোষকে মুখ করেই পুরভোটে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা গেল ব্যবধান অল্প হলেও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত হয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। 

হারের পর এদিন শঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, এরকম ফল প্রত্যাশা করিনি। মানুষ কেন আমায় প্রত্যাখ্যান করল, তা নিয়ে অনেক কথাই বলা যায়।কিন্তু এখন কাউকে দশ দিতে চাই না। ভোটে বিপর্যয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে হবে। সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে হবে। সেই সঙ্গে এদিন বিজেপি বিধায়ক বলেন, নতুন মেয়র হতে চলেছেন গৌতম দেব। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই।

Comments are closed.