“আন্টি ঘুমাতে পারছি না”, অমিতাভ বচ্চনের জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনার সময় কেঁদে ফেলেছিলেন স্বয়ং ইন্দিরা গান্ধী, সামনে এলো সব সত্যি

বলিউডের বিগ বি যিনি একসময় নিজের হিট হিট সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। আজ তার সম্পর্কেই এমন কিছু তথ্য তুলে ধরা হবে যা আমরা অনেকেই জানি না। এই ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত রয়েছেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।

আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সুপারহিট ‘কুলি’ ছবি সিনেমা হলে এসেছিল। সেই ছবির শুটিং করার সময় তার জীবনে বড়োসড়ো একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এই বড় দুর্ঘটনার কারণে অভিনেতার জীবন মরণ অবস্থা হয়েছিল। হয়তো তিনি সকলকে ছেড়ে চলেও যেতে পারতেন সেই সময়। সেই দুর্ঘটনার সময় খুব খারাপভাবে পেটে চোট পেয়েছিলেন অমিতাভ। তাঁর অন্ত্রে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাকে মুম্বাইয়ের নামি হাসপাতাল ব্রিচ ক্যান্ডি তে ভর্তি করা হয়েছিল। তার অন্ত্র ফেটেও গেছিল বলে শোনা যায়।

আর সেই সময় অমিতাভ বচ্চনের পরিবার ও ইন্দিরা গান্ধীর পরিবারের মধ্যে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু অমিতাভ এর এই দুর্ঘটনার সময় ইন্দিরা গান্ধী তাঁর ছেলের সাথে আমেরিকায় ছিলেন। অমিতাভ বচ্চনের এই অবস্থার কথা শুনে তিনি তৎক্ষণাৎ তাঁর ছেলে রাজীব গান্ধীকে ভারতে পাঠিয়ে দেন এবং অমিতাভের পরিবারের পাশে থাকতে বলেছিলেন। এমনকি ইন্দিরা গান্ধী নিজেও ভারতে ফিরে এসেছিলেন এবং তিনি নিজে অমিতাভ বচ্চনকে দেখতে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেখামাত্রই অমিতাভ বচ্চনের চোখ জলে ভিজে গেছিল। অমিতাভ বচ্চন তখন ইন্দিরা গান্ধীকে বলছিলেন, ‘আন্টি আমি ঘুমাতে পারছিনা’।

তখন অমিতাভ বচ্চনের অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক হয়ে গেছিলো যে ডক্টর বলেছিলেন তিনি কিছুদিনের মধ্যেই কোমায় চলে যেতে পারেন। চিকিৎসকরা তাঁকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেছিলেন। এই সমস্ত তথ্য ইন্দিরা গান্ধীর লেখা একটি বইতেই পাওয়া গেছে।

Comments are closed.