দিল্লি থেকে কলকাতা, পালিত হল বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও, পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি

তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের দিনেই বিজেপি পালিত করল গণতন্ত্র বাঁচাও, পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় শহিদ বিজেপি কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করতে এবং পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র বাঁচাতে দিল্লি থেকে বাংলা জুড়ে পালিত হল বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও, পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি। এদিন একদিকে যেমন কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে পালিত হয় এই কর্মসূচি অন্যদিকে নিউ দিল্লির রাজঘাটে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে দিল্লির রাজঘাটেও বিজেপি সাংসদরা হাতে প্ল্যাকার্ড হাতে ধরনায় বসেন।

প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল,পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র গণতন্ত্র হত্যাকারী তৃণমূল ধিক ধিক ধিক্কার। আবার অন্য প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, বাংলায় নেই আইনের শাসক, চলছে শুধু শাসকের আইন।

গণতন্ত্র বাঁচাও, পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি নিয়ে একটি টুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি একদিকে যেমন হেস্টিংসের ছবি তুলে ধরেন অন্যদিকে দিল্লির ছবিও শেয়ার করেন টুইটারে

কলকাতার হেস্টিংসের অফিসে ভোট পরবর্তী হিংসায় শহিদদের ছবিতে মালা দেন শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন রাহুল সিনহা সহ আরও অনেকে।

কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও পালিত হয় গণতন্ত্র বাঁচাও, পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি। এদিন হেস্টিংস অফিসের সামনে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে তিনি হ্যাশট্যাগে লেখেন বাংলা চায় গণতন্ত্র।

বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি অভিযোগ করেছে, রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতি হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। এই নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দরবার করেছে বিজেপি। প্রতি বছর তৃণমূল ২১শে জুলাই শহিদ দিবস পালন করে। এই বছর বিশেষ মাহাত্ম ছিল শহিদ দিবসের। কারণ এই বছর রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ শোনা গেছে ভিন রাজ্যেও। আর এই বছর এই দিনেই ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদ এবং রাজ্যে মৃত বিজেপি কর্মীদের শ্রদ্ধা জানানো হয় বিজেপির তরফে। এদিন কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের অন্য প্রান্তেও পালিত হয় বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও, পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি।

Comments are closed.