পাঁচ বছর পাকিস্তানের জেলে কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরল মধ্যপ্রদেশের এক কিশোর। তার নাম জীতেন্দ্র অর্জনওয়াড়া। জল খুঁজতে গিয়ে ভুল করে ২০১৩ সালে সিন্ধ সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্থানে ঢুকে পড়ে মধ্যপ্রদেশের সিনোই জেলার বাসিন্দা জীতেন্দ্র। অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পাক পুলিশ। তারপর আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার। রক্তের এক বিরল অসুখে আক্রান্ত এই ভারতীয় কিশোরের চিকিৎসা চলে পাকিস্তানের হায়দরাবাদের হাসপাতাল এবং জেলে। সেখানকার চিকিৎসকরাই প্রথম জীতেন্দ্রর মুক্তির ইস্যুতে সরব হন তাঁরা। পাকিস্তানের বিভিন্ন স্বেছাসেবী সংস্থাও জীতেন্দ্রকে ভারতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকাররের কাছে আবেদন জানায়। শেষ পর্যন্ত পাক সরকার সিন্ধান্ত নেয়, মুক্তি দেওয়া হবে ওই কিশোরকে। যোগাযোগ করা হয় ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে। লাহোরে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়া সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে জীতেন্দ্রকে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ভাইকে পাঁচ বছর বাদে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অমৃতসরে উপস্থিত ছিলেন জীতেন্দ্রর দাদা। জীতেন্দ্রকে করাচি থেকে লাহোরে নিয়ে আসার বিমান টিকিটের ভাড়া দেন করাচির এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাসির আলম। সীমান্তে লাগাতার উত্তেজনা, গোলা-গুলি, বিবৃতি-পালটা বিবৃতির লড়াই সব কিছুকে পিছনে ফেলে শেষ অবধি জয় হল মানবতার। দীর্ঘ পাঁচ বছর বাদে দেশের মাটি ছোঁয়া বিরল অসুখে আক্রান্ত জীতেন্দ্রর মুক্তিকে এই ভাবেই ব্যাখা করছেন সীমান্তের দু’পারের শান্তিকামী মানুষ।