মুখ্যমন্ত্রীর হুমকিতে কাজ, বৃহস্পতিবার বেশি বাস রাস্তায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে সাড়া না দিলে বেসরকারি বাস অধিগ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার জেরে কিছুটা সুর নরম করল বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি। রাস্তায় বাড়ল বাসের সংখ্যা। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, স্বাভাবিক হচ্ছে গণ পরিবহণ ব্যবস্থা।

গত মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা জানিয়েছিলেন, পয়লা জুলাই থেকে ৬ হাজার বাস নামবে রাস্তায়। কথা না রাখা হলে বাস অধিগ্রহণ করে চালাবে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে ১ লা জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মাফিক সরকারি ছুটি কেটেছে। বৃহস্পতিবার শহরের রাস্তায় প্রচুর বাস নামতে দেখা গিয়েছে। যদিও জনপরিবহণ স্বাভাবিক রাখতে বুধবারই নড়েচড়ে বসেছিল পরিবহণ দফতর। পুলিশ ও মোটর ভেহিকল ইন্সপেক্টররা শহরে চলার উপযুক্ত অথচ না চালিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে, এমন বেসরকারি বাস চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দেন। অন্যদিকে, জট কাটাতে বাস মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণ সচিব প্রভাত মিশ্রসহ উচ্চপদস্থ কর্তারা। সেখানেও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, এদিন ৩৮০০ র মতো বেসরকারি বাস ও ১৮০০ এর মতো সরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে। পরিবহণমন্ত্রী দাবি করেন, বাস চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে প্রচুর বাসকে।

পুলিশও যাত্রীদের সাহায্যে অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছে পরিবহণ দফতর। ধর্মতলা, বিবাদী বাগ চত্বর সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বাস না পেয়ে দীর্ঘ সময় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখলে, পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের কন্ট্রোলরুমে খবর দিয়ে সরকারি বাস পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। নিগম থেকে এ জন্য ধর্মতলা চত্বরেই ২৫ টি রির্জাভ বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে খবর।

এদিকে বাস পরিষেবা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন জনৈক আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। ভাড়া স্থির করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরির জন্য তিনি আদালতে আবেদন করেছেন।

বেসরকারি বাস-মিনিবাস বাস মালিকদের দু’টি বড় সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট ও ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ভাড়া বৃদ্ধি না করলে রাস্তায় নামবে না বলে জানিয়েছিল। পরিবহণ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অবশ্য তাঁরা বাস নামানোর ব্যাপারে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। তবে পথে বাস নামাতে সব সংগঠনই ইতিবাচক পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে সরকারকে। যার ফলে বৃহস্পতিবার রাস্তায় বাসের সংখ্যা বেশি হয়েছে।

 

 

 

Comments are closed.