ফালাকাটায় গণবিবাহের আসরে মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ

রাজ্য সরকারের তৎপরতায় ৯ টি চা বাগান খুলে গিয়েছে, চা সুন্দরী প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি

লোকসভা ভোটের পর এইপ্রথম আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা গেলেন মমতা। সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার শিলিগুড়িতে মমতা বলেছিলেন, লোকসভায় গো হারা হেরেছি। আমি জানি বিধানসভায় পুষিয়ে দেবেন। তার ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফালাকাটা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বললেন, লোকসভায় ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোট মেটার পর তাদের দেখা পেয়েছেন কি?

ভোটের আগে চা বাগান খোলার ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা। এবারও একই কাজ করবে। মমতার দাবি, রাজ্য সরকারের তৎপরতায় ৯ টি চা বাগান খুলে গিয়েছে। চা শ্রমিকরা পেয়েছেন জমির পাট্টাও। তাছাড়া চা সুন্দরী প্রকল্পে প্রত্যেক শ্রমিকের মাথা গোজার ঠাঁই নিশ্চিত করছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ভোট এলেই বাগান খোলার ললিপপ দেখায় বিজেপি। ভোট ফুরোলেই আর দেখা যায় না।

[আরও পড়ুন- লোকসভায় গো হারা হেরেছি, আমি জানি এবার পুষিয়ে দেবেন, উত্তরবঙ্গ উৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী]

বহুদিনের দাবি মেনে ফালাকাটাকে মিউনিসিপ্যালিটি করা হয়েছে। পরবর্তী লক্ষ্য ময়নাগুড়িকেও মিউনিসিপ্যালিটি করা। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আদিবাসী গণবিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ৪৩০ বিবাহিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে উপহার তুলে দেন মমতা।

আলিপুরদুয়ারে প্রায় ২৫ শতাংশ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভরাডুবি হয় তৃণমূলের। আদিবাসী সমাজ বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়ে। এবার বিধানসভা নির্বাচনে আদিবাসী সমাজের ভোট পেতে একের পর এক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার সুফল ভোটবাক্সে মিলবে বলে আশাবাদী তৃণমূল। এদিন আসিবাদী মহিলাদের নাচের তালে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী।

বিবাহের আসরের পাশেই নাচে মেতে উঠেছিলেন আদিবাসী মহিলারা। তাঁদের সঙ্গেই পা মেলান মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে ঠিক ‘দিদি’র মতো পাশে পেয়ে খুশি প্রত্যেকে।

এদিনের অনুষ্ঠান থেকে মমতা ব্যানার্জি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। চা সুন্দরী প্রকল্পের আওতায় ৪ হাজার ৬০০ এর বেশি চা শ্রমিকের হাতে বাড়ি তুলে দেওয়া হয়। আগামী ৩ বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন মমতা। এতে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Comments are closed.