চিনা গুপ্তচরের ১৮ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত, হাজারের বেশি সিম চিনে পাচারের অভিযোগ

মালদা সীমান্তে ধৃত চিনা নাগরিক হান জানুইকে ১৮ জুন অবধি পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মালদা জেলা আদালত।

বৃহস্পতিবার মালদার মালিক সুলতানপুর এলাকায় বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে চিনা নাগরিক হান জানুই। জেরা করে বিএসএফ জানতে পারে, সে চিনা গুপ্তচর। তাকে জেরা করতে শুক্রবার মালদা পৌঁছায় এনআইএ। শনিবার মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে ১৮ জুন অবধি তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

হানের কাছে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু সন্দেহভাজন ইলেকট্রনিক্স জিনিস। যেগুলি পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে খবর, প্রায় ১ হাজার ৩০০ ভারতীয় সিম কার্ড চিনে পাচার করেছে হান। যেগুলো ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে তুলেছিল সে। আর সেইসব সিম কার্ড দিয়ে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রতারণা করা হত।

উত্তর ভারতের গুরুগ্রামের সঙ্গে হানের যোগাযোগ ছিল। সেখানে সাং জুয়াং নামে এক বন্ধুর সঙ্গে স্টার স্প্রিং নামে একটি হোটেলও চালাত হান। কিছু দিন আগে সাং উত্তরপ্রদেশ গ্রেফতার হয় সাং জুয়াং। তাকে জেরা করেই উঠে আসে হানের নাম। লখনওয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয় হানের বিরুদ্ধে। তাই হানকে ভারতের ভিসা দিতে চাইছিল না চিন। ভারতে ঢোকার জন্য বাংলাদেশ ও নেপালের ভিসা নিয়েছিল সে।

২০১৯ সালের পর থেকে তিনবার ভারতে এসেছিল হান। গুরুগ্রামের স্টার স্প্রিং হোটেলে থাকত। এরপর সেই হোটেলের মালিকানা নিয়ে নেয় সে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ২০১৯ সালে এই হোটেলের মালিকানা নিয়ে নেয় সে।

বিএসএফ জানিয়েছে, ২ জুন বিজনেস ভিসা নিয়ে বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জে আসে সে। এরপর ৮ তারিখে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ভারতীয় সীমান্তের দিকে সোনা মসজিদের কাছে চলে আসে। সেখানে হোটেলে ২ দিন থাকার পর বৃহস্পতিবার মালদার কাঁটাতারহীন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় তাকে।

এদিন হানের আইনজীবী চিনা নাগরিকের আইনজীবি দেবান্দ তামাং আদালতে জানিয়েছেন, চিনা নাগরিকের কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট রয়েছে। চিনের বাসিন্দা ভারতের সীমানা না বোঝার জন্য ভুল করে চলে এসেছে।

Comments are closed.