রান্নাঘরে বহু প্রচলিত গরম মশলার মধ্যে অন্যতম লবঙ্গ। রান্নায় যেমন ঝাঁঝালো গন্ধ আনতে পারে, তেমনই মশলাদার করে তোলে ঘরোয়া রান্নাকে। তবে লবঙ্গের গুনাগুন কেবল রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ, গন্ধ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না, সঙ্গে ঔষধি গুনাগুণও ভরপুর লবঙ্গ।
লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেলের মতো উপাদান। এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক ইত্যাদি। লবঙ্গ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। তাই লবঙ্গ শারীরকে রোগমুক্ত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও লবঙ্গের ইউজিনল আছে যাতে জীবানুনাশক, প্রদাহনাশক, বেদনানাশক, অ্যান্টিসেপটিকের গুণাগুণ রয়েছে।
জেনে নিন লবঙ্গের ঔষধি গুনাগুণ
- সুগার অর্থাৎ মধুমেয় রোগ। চিকিৎসকরা বলে, সুগার হলে মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ একটু একটু করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। তাই শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা বিশেষ জরুরী। কিন্তু আজকালকার দিনে সুগারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বহুমাত্রায় বেড়ে গেছে। সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একাধিক উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম লবঙ্গ। কারণ এতে রয়েছে পলিফেনল যা ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই সুগার রোগীদের লবঙ্গ খেতে বলা হয়।
- বাইরের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেয়ে পেটের অসুখে হামেশাই ভুগতে হয়। পেটের অসুখ থেকে মুক্তি পেতে হলে, খাবার খাওয়ার আগে লবঙ্গ দিয়ে চা খেয়ে নিন। এতে আপনার হজম ক্ষমতা বাড়বে এবং রিচ মশলাদার খাবার খেলে পেটের সমস্যাও দূর হবে।
- লবঙ্গ পলিফেনলে ভরপুর। এই পলিফেনল হাড়কে শক্ত এবং মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিসের ব্যথাকেও নির্মূল করতে পারে।
- অ্যান্টিইফ্লামেটরি অ্যান্টিব্যকটিরিয়াল ও অ্যানেসথেটিক ও ইউজিনল ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যকটেরিয়াকে নষ্ট করে দেয়।
- সাইনাসের কারণে যাদের মাথা ধরার সমস্যা রয়েছে বা অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার। চিকিৎসকরা ঘরোয়া টোটকা হিসাবে রাতে শোয়ার আগে দুটি লবঙ্গ মুখে রাখতে বলছে।
Comments are closed.