ওদের সিবিআই থাকলে আমাদের হাতেও সিআইডি, এসটিএফ আছে, বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ মমতার

কেন্দ্রের হাতে সিবিআই থাকলে রাজ্যের হাতেও সিআইডি, এসটিএফের মতো একাধিক তদন্তকারী আছে বলে মোদী-অমিত শাহকে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রামপুরহাটের সরকারি সমাবেশ থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বেনজির আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই দিয়ে চমকাচ্ছে, আমার ছবি আঁকা, লেখা বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এক টাকাও আমি নিয়েছি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, শিশু পাচার থেকে গ্যাস কেলেঙ্কারি নানা অভিযোগ রয়েছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। রাজ্যের পুলিশের কাছেও সব রিপোর্ট রয়েছে। এই সমস্ত মামলা এবার নতুন করে চালু করার ইঙ্গিত দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহারের মতোই দাঙ্গা বাঁধিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে নাম না করে অর্ধ শিক্ষিত এবং গর্ধ শিক্ষিত বলেও আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বাংলার সংস্কৃতি থেকে শুরু করে কিচ্ছু জানেন না বিজেপি নেতারা। শুধু মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছে এরাজ্যে এসে। মমতা বলেন, বিজেপির সময় সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র এক মাস।
মঙ্গলবার কাঁথির সভা থেকে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘স্বচ্ছ ভারত’কে ‘নির্মল বাংলা’ বলে চালানো হচ্ছে। ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পকে ‘কন্যাশ্রী’ নামে চালাচ্ছে মমতার সরকার। বিজেপি সভাপতির এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে শুরু হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। আর বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও শুরু প্রকল্প বিজেপি শুরু করেছে ২০১৫ সালে। বুধবার রামপুরহাটে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে মমতার কটাক্ষ, তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত প্রকল্পের ‘টুকলি’ করেছে বিজেপি সরকার। রামপুরহাট থেকে মমতার ঘোষণা, আগামী লোকসভায় এরাজ্য থেকে একটি আসনও জিততে পারবে না বিজেপি। পদ্ম শিবিরের উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, কিছুদিনের জন্য মানুষকে বোকা বানানো যেতে, পারে সারা জীবনের জন্য নয়।

Comments are closed.