২০ শে জুলাই লোকসভায় আস্থা ভোটের আলোচনায় বক্তব্য পেশের পর কংগ্রেস সভাপতির প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণে বিদ্ধ করে কার্যত আগামী লোকসভা ভোটের ঘন্টা বাজিয়ে দিল কংগ্রেস। শনিবারই কলকাতার শহিদ সমাবেশ থেকে বিজেপি হঠানোর ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রবিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকে নরেন্দ্র মোদীকে একযোগে তীব্র আক্রমণ করলেন সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। পি চিদম্বরম বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিন গুণ আসন বৃদ্ধি করে ১৫০ আসন পেতে পারে কংগ্রেস।
রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর রবিবারই দিল্লিতে বসে প্রথম কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসী, গরিব সবাই এই সরকারের আমলে আক্রান্ত। সোনিয়া গান্ধীও তীব্র আক্রমণাত্মক ছিলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সম্পর্কে। তিনি বলেন, বিজেপির হাত থেকে দেশকে, দেশের মানুষকে উদ্ধার করতে হবে। তার জন্য দরকারে স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স করতে হবে বিভিন্ন দলের সঙ্গে। কিন্তু, জাতীয় রাজনীতিতে কোন দলের সঙ্গে কোন শর্তে স্ট্রাটেজিক অ্যালায়েন্স হবে তা বিষদে ব্যাখ্যা করেননি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। রাহুল, সোনিয়ার মতোই বিজেপি সরকার এবং নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও। মনমোহন সিংহ বলেন, কোনও গঠনমূলক কাজ না করে শুধু আত্মপ্রচারে চলছে একটা সরকার। পি চিদম্বরম বলেন, দিন দিন দেশের পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ১২ টি রাজ্যে কংগ্রেস এই মুহূর্তে শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে।
কয়েক মাসের মধ্যেই রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে নির্বাচন। তিনটি রাজ্যেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি কংগ্রেসের লড়াই। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বও জানেন, এই তিন রাজ্যের ফলাফলের ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে লোকসভা ভোট। সেই কারণে এখন থেকেই এই তিন রাজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।