সেদিন কেঁদেছিলেন রত্না, আজ সৌমিত্র! দাম্পত্য সম্পর্ক রাজনীতির ময়দানে

তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সুজাতা মণ্ডল খাঁকে ডিভোর্স নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যা নিয়ে বেনজির টানাপড়েন চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে। একদিকে অশ্রুসজল চোখে সাংবাদিক বৈঠক করে সৌমিত্র খাঁ স্ত্রীকে বিচ্ছেদ নোটিস দেওয়ার কথা জানাচ্ছেন, অন্যদিকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুজাতা মণ্ডল খাঁ চোখের জল মুছে জানাচ্ছেন তিনি সৌমিত্রকেই ভালবাসেন। স্বামীর শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। সব মিলিয়ে বর্ষ শেষে বাঙালি মগ্ন দাম্পত্য বিবাদের রাজনৈতিক তাৎপর্য খুঁজতে। 

বঙ্গ রাজনীতির এক চিলতে উঠোনে দাম্পত্য বিবাদ অবশ্য নতুন কোনও বিষয় নয়। ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাঙালি দেখেছিল প্রায় একই রকম ঘটনা। কলকাতার তৎকালীন মেয়র তথা মন্ত্রী শোভন চ্যাটার্জি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেন। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জির দাম্পত্য বিবাদ ক্রমেই রাজনীতির মুখরোচক অধ্যায়ে পরিণত হয়। সেবার দাম্পত্যে ভাঙ্গন ধরায় চোখের জল ফেলেছিলেন রত্না চ্যাটার্জি। এবার কাঁদলেন সৌমিত্র খাঁ। কারণ মোটের উপর এক, দাম্পত্যে দলবদলের প্রভাব। কিন্তু প্রশ্ন হল, রাজনীতির দলবদলে দাম্পত্যে প্রভাব পড়বে কেন? 

সমাজতাত্বিকরা বলেন, এ আসলে আগমার্কা পুরুষতান্ত্রিকতার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু চোখের জলের কোনও রং হয় নাকি! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তৃণমূল ছেড়ে শোভন শুধু বিজেপিতেই যাননি, দাম্পত্যেরও ইতি টেনেছিলেন। তাতে দুঃখিত রত্না চ্যাটার্জির চোখের জল বাঁধ মানেনি। আর এবার স্ত্রী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় দাম্পত্যে ইতি টানতে গিয়ে চোখের জল সামলাতে পারলেন না বিজেপির সৌমিত্র খাঁ। এভাবেই রাজনীতির আবর্তে দাম্পত্যের একের পর এক একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হয়ে উঠছে আমজনতার মুখরোচক চর্চার বিষয়।

Comments are closed.