চার বাঙালি নেতার হাত ধরে অরুণাচলে প্রবেশ CPI’র, উড়ল লাল ঝাণ্ডা

এআইএসএফের হাত ধরে অরুণাচলপ্রদেশে প্রথমবার প্রবেশ সিপিআই'র

সাম্প্রতিক অতীতে অরুণাচল প্রদেশের রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছে জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) দল। এবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যে এই প্রথমবার প্রবেশ করল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (CPI)। বিজেপি শাসিত অরুণাচল প্রদেশে গত ১৭ জানুয়ারি সিপিআই’র ছাত্র সংগঠন AISF তাদের প্রথম রাজ্য সম্মেলন করল। সেখানেই অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ফেডারেশন (AISF)-এর অরুণাচল প্রদেশের রাজ্য সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে লি ইয়ামলামকে। রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন জমকম কেনাকে। এছাড়া আজুম মোসু ও ওমেম পার্টিন যথাক্রমে সিপিআই ছাত্র সংগঠনের মহিলা শাখার সভাপতি ও সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তবে সুদূর অরুণাচলে CPI’র সংগঠন মজবুত করা ও আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব যাঁরা ঘাড়ে তুলে নিয়েছেন, তাঁরা এই বাংলারই চার যুবক। এঁদের নাম, শুভম ব্যানার্জি, দেবজিৎ ব্যানার্জি, সৌরভ চক্রবর্তী ও গৌরব ঘোষ। তাঁদের ছয়-সাত মাসের নিরলস পরিশ্রম ও পরিকল্পনাতেই অরুণাচলে মাটিতে পা রাখল সিপিআই।

AISF এর রাজ্য সভাপতি তথা সিপিআই’র ন্যাশনাল কাউন্সিল মেম্বার শুভম ব্যানার্জির কথায়, সিপিআই ও এআইএসএফের ৯৫ ও ৮৫ বছরের ইতিহাস থাকলেও এতদিন অরুণাচলে লাল ঝাণ্ডা ওড়েনি। এই ১৭ তারিখ AISF’র প্রথম সভার মধ্যে দিয়েই সেই পথ প্রশস্ত করলাম আমরা। শুভমের দাবি, অরুনাচলে সিপিআই’র অফিশিয়াল প্রবেশ অনেক আগেই সংগঠন মজবুত করেছেন তাঁরা। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভিত মজবুত করেই সিপিআই প্রবেশ করছে বলে এক সংবাদমাধ্যমকে জানান এই বাঙালি বাম নেতা। তিনি যোগ করেন, অরুণাচলের মানুষ বিজেপি সরকারকে নিয়ে খুশি না হলেও সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে ৮০ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছে তারা। আসলে বেশিরভাগ আসনেই বিজেপির বিরুদ্ধে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করেনি। এই প্রেক্ষিতে ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সী অরুণাচলের যুব সম্প্রদায়কে AISF-এ আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি। শিক্ষার বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই জারি থাকবে বলে জানান শুভম।

অরুণাচলে লাল ঝাণ্ডা ওড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন আরও তিন বাঙালি যুবক। এঁদের মধ্যে দেবজিৎ ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এআইএসএফের একজিকিউটিভ মেম্বার। পেশায় আইনজীবী সৌরভ চক্রবর্তী রাজ্য এআইএসএফের সহ-সম্পাদক এবং গৌরব ঘোষ রাজ্য এআইএসএফের সদস্য।

Comments are closed.