Budget Highlights 2020: বাজেট বিশ্লেষণ | চাওয়া-পাওয়ার তথ্য তালাশ

দেশের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়, বাড়ছে বেকারত্ব। এই পরিস্থিতিতে গত শনিবার দ্বিতীয় মোদী সরকারের আমলে প্রকাশিত হয়েছে এ বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে নির্মলা সীতারামনের এই বাজেট পেশে কতটা উপকার হল মধ্যবিত্তের, কোন খাতেই বাড়ছে খরচ। এই বাজেট বিশ্লেষণে দেখে নেওয়া যাক Budget 2020 এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি।

 

আয়কর ছাড়

আয়কর ছাড়

 

এ বারের বাজেট পেশে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা মাফিক, পাঁচ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে কোনও আয়কর দিতে হবে না।

  • ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা আয়ে আয়কর দিতে হবে ১০ শতাংশ।
  • ৭.৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রের ১৫ শতাংশ আয়কর।
  • ১০ থেকে ১২.৫ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রের করের পরিমাণ ২০ শতাংশ।
  • ১২.৫ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয়ের ২৫ শতাংশ আয়কর দিতে হবে।

 

ব্যাঙ্কে আমানতের বিমা

এবার আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে ৩.৮ শতাংশ। পাশাপাশি ব্যাঙ্কে আমানতকারীদের এতদিন একলক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা সুরক্ষিত রাখা হয়েছিল, তা এবার বেড়ে হল ৫ লক্ষ টাকা।

 

কৃষিক্ষেত্র

কৃষিক্ষেত্র

এবারের বাজেটে কৃষিক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় ৬ কোটি কৃষককে আনার কথা জানিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। কৃষিকাজে দরকারি জিনিস পরিবহণের ক্ষেত্রে কিষাণ রেল প্রকল্প তৈরির ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি, ভিন রাজ্যে এবং বিদেশে পণ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষি উড়ান প্রকল্পের কথাও জানানো হয়েছে।

 

স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্র

স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্র

বাজেট ২০২০, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে ৬৯০০০ কোটি টাকা এবং শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৯৯,৩০০ কোটি টাকা। যা নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা খাতে খরচ বৃদ্ধি হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ আশানুরূপ হয়নি। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ডিগ্রি স্তরের অনলাইন কোর্স চালু করা হচ্ছে।

মোদী সরকারের স্কিল ইন্ডিয়া প্রকল্পে যুবক- যুবতীর দক্ষতা বৃদ্ধির প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৩০০০ কোটি টাকা।

স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে এবার বরাদ্দ হয়েছে ১২,৩০০ কোটি টাকা।

দেশের প্রতিটি পরিবারে জল সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে ‘নল সে জল’ প্রকল্পের প্রস্তাব ঘোষিত হয়েছে।

 

পরিকাঠামো ক্ষেত্র

পরিকাঠামো মজবুতের লক্ষ্যে ৯০০০ কোটি টাকা খরচ করে ইকোনমিক করিডোরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের মধ্যে দেশে একশো বিমানবন্দর তৈরির কথা ঘোষণা হয়েছে এবং ১,১৫০ টি ট্রেন পিপিপি মডেলে চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে চারটি প্রধান রেল স্টেশনকে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।

পরিবহণ খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা।

 

তফসিলি উন্নয়ন

তফসিলি জাতি ও উপজাতির উন্নয়নে ৫৩,৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ ৯০০০ কোটি টাকা।

 

এলআইসি-সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রি

এলআইসি-সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রি
Courtesy – India TV

এই বাজেটে (বাজেট ২০২০) যে অংশ নিয়ে সবচেয়ে বিতর্কের জায়গা তৈরি হয়েছে তা হল, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এলআইসি, আইডিবিআই এবং ভারত পেট্রোলিয়ামের শেয়ার বিক্রির কথা।

৬০ বছরের পুরনো রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার কত শতাংশ বিক্রি করা হবে তা এখনও পরিষ্কার না হলেও আর্থিক ঘাটতি মেটাতেই যে লাভজনক বিমা সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র, তার তীব্র বিরোধিতা করছে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে এলআইসি-র কর্মী সংগঠনও।

Comments are closed.