বারবার দিল্লির ফোনেও বদলালো না মন, ঘাসফুলেই ফিরলেন মুকুল

মুকুল রায় যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে! খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় পদ্ম শিবিরে।

মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত যাঁরা দাদার খবর রাখতেন না তাঁরাও সকলে খবর ছড়ানোর পরে একের পর এক ফোন করতে থাকেন মুকুল রায়কে। তালিকায় রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে রয়েছেন দিল্লির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। পদ্ম শিবির কার্যত মরিয়া হয়ে ওঠেন মুকুলের ঘর ওয়াপসি আটকাতে। বাড়ে বাড়ে সদ্য প্রাক্তন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ততক্ষনে তৃণমূল ভবনে যাওয়ার সিধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তৎকালীন ঘাসফুল শিবিরের নাম্বার টু।

শুক্রবার বিকেল ৪.৩০ এ মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। সঙ্গে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংসু রায়। দু’জনকেই উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। বঙ্গ রাজনীতির এক বৃত্ত সম্পূর্ন হয়।

বিজেপির অন্দরের খবর, বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য বিজেপির তাঁকে কোণঠাসা করে দেওয়াটা ভালোভাবে নেননি মুকুল রায়। তখন থেকেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে মানসিক ভাবে দুরুত্ব তৈরি হয় তাঁর। ঘনিষ্ঠ মহলে নিজে দাবি করতেন বাংলার প্রতিটি বুথে তাঁর একজন করে লোক রয়েছে। সেই মুকুল রায়কে হেস্টিংসের বিজেপির হেড কোয়ার্টার থেকে বহু দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কৃষ্ণনগর থেকে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করে। আর কার্যত তখন থেকেই তিনি চুপচাপ। ভোটে দাঁড়ালেও ময়দানে তাঁকে দেখা যায়নি। জেতার পর শুধু একবার বিধানসভা গিয়েছিলেন শংসাপত্র নিতে। সেখানেও গিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন সুব্রত বক্সীর সঙ্গে।

ফাটল প্রকাশ্যে আসে মুকুল রায়ের স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার পর। হাসপাতালে অভিষেক ব্যানার্জির দেখতে যাওয়ার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি যান। ফোন করেন প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু এতেও অভিমান কমেনি বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির।

সূত্রের খবর আগুনে ঘি সংযোগ হয় বিজেপির সাংগঠনিক পরিশরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষমতা বৃদ্ধি হওয়ায়। আর যার জেরেই কয়েকদিন ধরে তাঁকে নিয়ে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘ঘরে’ ফিরলেন মুকুল রায়।

Comments are closed.