রাজ্যজুড়ে ২০ হাজার ক্যাম্প, রাত পোহালেই দুয়ারে হাজির মমতা সরকার

রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে এ যাবৎ সবচেয়ে বড়ো সরকারি প্রকল্প দুয়ারে সরকার। পয়লা ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের কোণে কোণে চলবে ২০ হাজার ক্যাম্প। সেখানে ১০ টিরও বেশি দফতরের আধিকারিকরা হাজির থাকবেন। 

খাদ্যসাথী প্রকল্পে সমস্যা? জয় জোহার পেনশন পাচ্ছেন না? বিধবাভাতা, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী নিয়ে কোনও প্রশ্ন? সরকারি প্রকল্প এবং তার সুবিধা পাওয়া নিয়ে বাংলার মানুষের দোরে দোরে হাজির হচ্ছে রাজ্য সরকার, সেখানেই মিলবে সমস্ত উত্তর। সোমবার দুপুরে নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জি ঘোষণা করেন, সরকারের ১০ টি দফতর ছাড়াও সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া নিয়ে মানুষের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এবং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই এই বিপুল কর্মযজ্ঞের আয়োজন। আগামী ২ মাস ধরে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলবে। 

মুখ্যসচিব বলেন, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, জয় জোহার, তফসিলি বন্ধু, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, ঐক্যশ্রী, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে ওই ২০ হাজার ক্যাম্প থেকে। এছাড়া অন্য যে কোনো রাজ্য সরকারি প্রকল্প বা সরকারি সুবিধা নিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া যাবে ক্যাম্পে। 

তিনি জানান, এগিয়ে বাংলার ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত সমস্ত নির্দেশিকা এবং কর্মপদ্ধতি দেওয়া হয়েছে। নবান্নের লক্ষ্য রাজ্যের প্রতিটি মানুষের বাড়ির দরজায় পৌঁছে গিয়ে সুবিধা-অসুবিধা জানা এবং তার সমাধান করা। 

মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, গ্রাম পঞ্চায়েত ও মিউনিসিপ্যাল ওয়ার্ড স্তরে ক্যাম্প বসবে। নোডাল অফিসার হিসেবে থাকবেন সিনিয়র আইএএস অফিসাররা। বিডিও নিজে ক্যাম্পে হাজির থাকবেন। নবান্ন থেকে চলবে রিয়াল টাইম মনিটরিং। এই জন্য শীর্ষ আইএএস অফিসার দ্বিবেদীর নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে টাস্ক ফোর্স। 

রাজ্যের মানুষকে সরকারি প্রকল্পের যে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়াই শুধু নয়, সমস্যা সমাধান এবং কী কী সরকারি সুবিধা আপনি পাওয়ার যোগ্য, তা নিয়ে মানুষকে ওয়াকিবহাল করে তোলাই মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য বলে জানান আলাপন ব্যানার্জি।

Comments are closed.