প্রথম দফার ভোট শুরু ঠিক ১১ দিন আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নোটিস পাঠাল ED। এই ঘটনায় নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বাঁকুড়া জেলায় নির্বাচনী সভা করতে গিয়ে এই খবর পান মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চ থেকেই খবর জানিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা।
ভোটের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের উপর চাপ তৈরির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে আগেও উঠেছিল। এবার মমতা ব্যানার্জির সরাসরি অভিযোগ, কিছুক্ষণ আগেই স্বরাষ্ট্র সচিবকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কেন সরকারি কর্মীদের এভাবে হেনস্থা করা হবে? পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরও নোটিস পাঠানোর অভিযোগ তুলেছেন মমতা ব্যানার্জি।
তাঁর দাবি, কলকাতায় বসে এই সব করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মমতার কটাক্ষ, হোম মিনিস্টার তো দেশ চালাবেন, তা না করে উনি কলকাতায় বসে কাকে কাকে গ্রেফতার করতে হবে তার তালিকা বানাচ্ছেন! শিল্পপতিদের বাড়িতে রেড করা হচ্ছে। তারপরই চ্যালেঞ্জের সুরে মমতা বলেন, অমিত শাহ নিজেকে কী ভাবেন? কেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ইচ্ছেকৃত হয়রানি করা হচ্ছে? কমিশন কি দেখতে পাচ্ছে না? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি বলেন, রাজ্যের দৈনন্দিন কাজে অমিত শাহেরা প্রবল হস্তক্ষেপ করছেন।
ভোট আসতেই তৃণমূল শিবিরের নেতাদের ডাকা শুরু করেছে সিবিআই, ইডি। সম্প্রতি মদন মিত্র, পার্থ চ্যাটার্জিকেও ডাকা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে ডাকার পরিকল্পনা আছে বলে সূত্রের খবর। এই অবস্থায় মোদী-শাহের দিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে রাখলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর দাবি, অমিত শাহ যা খুশি করতে পারেন তবুও বাংলা বিজেপিকে জেতাবে না। এর মধ্যেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নোটিস দিল ইডি।