পরিবহণের চাপ কমাতে সোমবার ফেয়ারলি প্লেস থেকে চালু ফেরি সার্ভিস, ৭ টি রুটে লঞ্চ পরিষেবা

যাত্রী সুবিধার্থে জুনের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির ২৯টি রুটে ৪০ লঞ্চ রুটে পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। ২৯ জুন, সোমবার থেকে আরও ৭ টি রুটে ফেরি পরিষেবা শুরু করল রাজ্য পরিবহণ নিগম (WBTC)।

সোমবার থেকে কোন কোন রুটে চালু হচ্ছে ফেরি পরিষেবা?

 

১) চুঁচুড়া-ফেয়ারলি 

সকাল সাড়ে ছ’টায় চুঁচুড়া থেকে ছাড়ছে ভেসেল। বাগবাজার হয়ে কলকাতার ফেয়ারলি ঘাটে পৌঁছচ্ছে এই ফেরি। আবার বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটে ফেয়ারলি প্লেস থেকে বাগবাজার ঘাট হয়ে চুঁচুড়া যাবে একটি ভেসেল।

 

২) চন্দননগর-ফেয়ারলি 

সোমবার সকাল ৭ টায় চন্দননগর থেকে ছাড়ে একটি ফেরি। বাগবাজার হয়ে সেটি ফেয়ারলি ঘাটে পৌঁছয়। বিকেল ৪ টা ৪৫ মিনিটে আবার চন্দননগরের উদ্দেশে ফেয়ারলি ঘাট থেকে লঞ্চটি ছাড়ছে।

 

৩) তেলিনিপাড়া-ফেয়ারলি 

তেলিনিপাড়া থেকে সকাল ৭ টায় একটি ভেসেল ছাড়বে। ভদ্রেশ্বর, বাবুঘাট, বাগবাজার হয়ে ফেয়ারলি পৌঁছয় এই লঞ্চ। আবার বিকেল সাড়ে চারটায় ফেয়ারলি থেকে চন্দননগরের উদ্দেশে যাত্রা।

 

 

৪) শ্যাওড়াফুলি-ফেয়ারলি 

সকাল ৮ টায় শ্যাওড়াফুলি থেকে ছাড়বে একটি ভেসেল। বাগবাজার হয়ে ফেয়ারলি প্লেস পৌঁছবে এটি। ফেয়ারলি থেকে আবার বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিটে শ্যাওড়াফুলির উদ্দেশে রওনা দেবে একটি ভেসেল।

 

 

৫) শ্রীরামপুর-ফেয়ারলি 

সকাল ৮ টায় শ্রীরামপুর থেকে ছাড়ছে একটি ভেসেল। বাগবাজার ঘাট হয়ে গন্তব্য সেই ফেয়ারলি। আবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ফেয়ারলি থেকে যাত্রা করবে এই ভেসেল।

 

 

৬) রিষড়া-ফেয়ারলি 

সকাল সাড়ে আটটায় রিষড়া থেকে একটি ফেরি ছাড়বে। বাগবাজার, আর্মেনিয়ান ঘাট হয়ে ফেয়ারলি যাবে এই ভেসেল। ফেয়ারলি থেকে আবার বিকেল ৫ টায় একই জলপথে রিষড়ার উদ্দেশে রওনা হবে ভেসেলটি।

 

 

৭) কোন্নগর-ফেয়ারলি 

সোমবার থেকে প্রতিদিন সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটে কোন্নগর থেকে ছাড়ছে একটি ভেসেল। বাগবাজার হয়ে সেটি ফেয়ারলি যাবে। আবার বিকেল ৫ টা ১৫ মিনিটে ফেয়ারলি থেকে ছাড়বে ফেরি। বাগবাজার হয়ে গন্তব্য কোন্নগর।

পরিবহণ দফতর জানাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী সুবিধার্থে এই পরিষেবা শুরু হচ্ছে। ৮ জুন থেকে রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বেসরকারি সংস্থার ক্ষেত্রে সেরকম কোনও সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। অফিস যাওয়ার ক্ষেত্রে তাই গণ পরিবহনই একমাত্র ভরসা অনেকের। বিশেষত জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাঁরা ট্রেনে যাতায়াত করতেন, তাঁরা বেশি অসুবিধার মুখোমুখি হয়েছেন। লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকায় সেইসব অফিস যাত্রীদের এখন ঘুরপথে অফিস যেতে হচ্ছে। শুধু সরকারি-বেসরকারি বাস চালিয়ে সেই সমস্যার সুরাহা হচ্ছে না। সে কথা মাথায় রেখেই ভেসেল পরিষেবা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ভেসেলে মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ যাত্রী ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে। পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, ভেসেলগুলি জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া মাস্ক ছাড়া কোনও যাত্রীকে ফেরিতে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে না।

Comments are closed.