করোনা রোগীর সংস্পর্ষে আসা ব্যক্তি হোম কোরারেন্টিনে থাকতে পারবেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল স্বাস্থ্য দফতর

করোনা হলে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারেন, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এমন একটি ঘোষণার প্রেক্ষিতে নানা মহলে চাপানউতোর শুরু হয়। যদিও করোনা আক্রান্ত নন, তাঁর আত্মীয়-স্বজনকে হোম-কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার রাতে রাজ্য সরকারের এক নির্দেশিকায় তেমনটাই বলা হয়েছে।

নবান্নর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগে কারও শরীরে এই মারণ ভাইরাস বাসা বাঁধলে, তাঁর সংস্পর্ষে আসা আত্মীয়-পরিজনদেরও কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হচ্ছিল। তবে এখন থেকে চাইলে তাঁরা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারেন, এমনই পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরই ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
সোমবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব বিবেক কুমারের জারি করা এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসা মানুষ চাইলে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারবেন। নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে থাকার মতো অবস্থা থাকলে কোনও প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে তাঁরা বাড়িতেই থাকতে পারেন। তবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, মুখে মাস্ক পরা সহ করোনা মোকাবিলায় যে স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে, তা মেনে চলতে হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, হোম-কোয়ারেন্টিনে থাকলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নজরে থাকছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ক্ষেত্রে এই বিধি প্রযোজ্য নয় বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের করোনার চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা থাকা হাসপাতালেই চিকিৎসা হবে।
প্রসঙ্গত সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, যদি থাকার মতো জায়গা থাকে, তাহলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকুন। কারণ, সেটা অত্যন্ত সুরক্ষিত জায়গা। হাসপাতাল বা অন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে গেলে ঝুঁকি আরও বাড়ে। তবে বিষয়টা সরকারকে জানাতে হবে। সরকার একটা গাইডলাইন তৈরি করে দেবে, যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। নির্দেশিকা দিয়ে তা দূর করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

Comments are closed.