রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে ফের অ্যাডভাইসারি পাঠাল কেন্দ্র, গুরুত্ব দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী
ফের রাজ্যকে অ্যাডভাইসারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের অ্যাডভাইসারি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নিয়েও দ্রুত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অ্যাডভাইসারি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবার একই ইস্যুতে ফের নবান্নকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেখানে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার পরিসংখ্যান তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অ্যাডভাইসারিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালে রাজ্যে ৫০৯ টি রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তাতে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। ২০১৮ সালে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা বেড়ে হয়েছে ১০৩৫ টি। তাতে মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের। এ বছর এখনও পর্যন্ত ৭৭৩ টি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তাতে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়েছে, বোঝাই যাচ্ছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এই প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকার রাজনৈতিক হিংসা রুখতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, অ্যাডভাইসারিতে তাও জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
রাজ্যে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের নবান্নে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে আরও জটিল হয়ে উঠেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য-সঙ্কট। শুক্রবারই গোটা ঘটনার দায় মুখ্যমন্ত্রীর কাঁধে চাপিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার নতুন করে অ্যাডভাইসারি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তবে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশে রাজ্যকে চাপে রাখতেই এই পদক্ষেপ করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এ সব করে তাঁর সরকারকে বিপদে ফেলা যাবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পালটা বক্তব্য, উত্তর প্রদেশ, গুজরাতে অ্যাডভাইসারি পাঠাক কেন্দ্র। ওখানে এনকাউন্টারের নামে মানুষ খুন করা হচ্ছে।