লকডাউন থেকে আমপান, রাজ্যে ফোন ও ইন্টারনেট সার্ভিস বাজিমাত জিও’র

পশ্চিমবঙ্গের বুকে আমপান আছড়ে পড়ায় জেলায় জেলায় ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ থেকে মোবাইল পরিষেবা। ফোনে এক সেকেন্ড কথা বলাই দায় হয়ে পড়েছে। দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধের জোগাড় হয়। এই পরিস্থিতিতেও অন্যান্য নেটওয়ার্কের থেকে ভালো পরিষেবা দিয়েছে রিলায়েন্স জিও। সংস্থার দাবি, আমপানে বিধ্বস্ত বসিরহাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা হোক বা কাকদ্বীপে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাংবাদিক বৈঠক, এর অনলাইন সম্প্রচার সম্ভব হয়েছিল জিও-র সৌজন্যেই।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের জেরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম থেকে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন পড়াশোনা, সব ক্ষেত্রেই বিপুল সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও পরিষেবা সচল রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল জিও টিম। গ্রাহকদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য একটি ওয়ার-রুম তৈরি করা হয়েছিল। যখনই কোনও এলাকা থেকে সমস্যার অভিযোগ এসেছে, দ্রুত সেখানে পৌঁছে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে৷ রিটেলারদের কাছেও জিও নেটওয়ার্ক নিয়ে বারবার আপডেট দেওয়া হয়েছে, যাতে গ্রাহকদের থেকে পাওয়া অভিযোগ দ্রুত খতিয়ে দেখতে পারেন তাঁরা৷ তাই অন্যান্য অপারেটরদের চেয়ে অনেক ভালো পরিষেবা দিয়েছে জিও৷
ঘূর্ণিঝড়ের সময় ও পরে বহু ডিটিএইচ গ্রাহক যখন টিভি দেখতে পারেননি, সেখানে JioTV-র গ্রাহকরা খবর ও অন্যান্য বিনোদন উপভোগ করেছেন পুরো মাত্রায়৷ অন্যান্য নেটওয়ার্কের গ্রাহকরা এই পরিস্থিতিতে জিও-তে সুইচ করেছেন অটো সার্চ বা ম্যানুয়াল নেটওয়ার্ক সিলেকশনের মাধ্যমে৷
শুধু ডিটিএইচ নয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক অপারেটরের৷ বহু গ্রাহক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পাননি৷ এখানেও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে জিও৷ JioFiber টিম  গ্রাহকদের সমস্যা মিটিয়েছে দ্রুত৷ তাই হাই স্পিড ইন্টারনেট পেয়েছেন জিও-র সব গ্রাহক৷

বসিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় একমাত্র Jio নেটওয়ার্কই কাজ করছিল৷ বাকি সব নেটওয়ার্ক বসে গিয়েছিল৷ কাকদ্বীপে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও সাংবাদিক বৈঠকও একমাত্র সম্ভব হয়েছিল জিও-র র জন্যই৷

Comments are closed.