পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে কাশ্মীরি আপেল চাষের উদ্যোগ! আপেল চারা বিলি প্রশাসনের

আঙুর, স্ট্রবেরির পর এবার আপেল। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে শুরু হয়েছে চিনির মতো মিষ্টি কাশ্মীরি আপেল চাষ। ১০০ দিনের কাজের আওতায় বান্দোয়ান ব্লক প্রশাসন উদ্যান পালন দফতরকে সঙ্গে নিয়ে আপেল চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। আপেল চাষে ব্যবহার হবে শুধু মাত্র জৈব সার। 

জঙ্গলমহলের বান্দোয়ানের চাঁদরা গ্রামে ১ বিঘা জমি আপেল চাষের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। আপাতত এই জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে চাষ হবে। সফল হলে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে গোটা বান্দোয়ান তথা জঙ্গলমহলে। 

এর আগে আঙুর ও স্ট্রবেরি চাষে সাফল্য পেয়েছে জঙ্গলমহল। সেই সাফল্যই কাশ্মীরি আপেল চাষের আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে প্রশাসনকে। 

চাঁদরা গ্রামের কৃষিজীবী চম্পাবতী মাহাতর ১ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫ রকম আপেল গাছের ৪০ টি চারা লাগানো হয়েছে। হিমাচল থেকে আনা প্রতিটি চারার দাম ৬০০ টাকা। চম্পাবতী মাহাত সরকারি উদ্যোগের প্রশংসা করে জানিয়েছেন, তাঁর ১ বিঘা জমি ফাঁকা পড়ে ছিল। প্রশাসন থেকে আপেল চাষের প্রস্তাব দিলে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান তিনি। 

সূত্রের খবর, ২ বছর বয়সী আপেল গাছের চারা লাগান হয়েছে। ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এক একটি আপেল গাছ ফল দেবে। সাধারণত কাশ্মীরের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় আপেল ভালো হয়। কিন্তু নাতিশীতোষ্ণ এলাকাতেও আপেল চাষ সম্ভব। তাই জঙ্গলমহলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর আগে জঙ্গলমহলে সফলভাবে আঙুর ও স্ট্রবেরি চাষ করে তাক লাগিয়েছিল উদ্যান পালন দফতর। এবার আপেল নিয়েও আশাবাদী দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা বলছেন, আবহাওয়া কাশ্মীরের মতো না হলেও শীতকালে এখানে ভালো ঠাণ্ডা পড়ে। যা আপেল চাষের পক্ষে সহায়ক। পাশাপাশি পুরুলিয়ার মাটির গুণাগুণ কাশ্মীর, হিমাচলের মতোই। তাই আপেল চাষ সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.