লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে আরও ১৪ দিন। এ বিষয়ে জারি হয়েছে নতুন গাইডলাইনও। যে গাইডলাইন পড়ে মুখে হাসি সুরা রসিকদের। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ৪ মে থেকে দেশের গ্রিন জোনে খোলা যাবে মদের দোকান। তবে ২ গজ দূরত্ব বজায় রেখে এবং দোকানে কখনওই ৫ জনের বেশি থাকতে পারবেন না।
লকডাউন ঘোষণা হতেই তালা পড়েছিল দেশের তামাম মদের দোকানে। এতে একদিকে যেমন সুরা রসিকরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন অন্যদিকে বিপুল রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়ছিল রাজ্যগুলো। ফলে কেন্দ্রের কাছে মদের দোকান খোলার দাবি জানিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। একই দাবি করেছিল কেরলও। সূত্রের খবর, অন্তত ৮ টি রাজ্য কেন্দ্রের কাছে মদের দোকান খোলার ব্যাপারে তদ্বির করেছিল। কেন্দ্র রাজি হয়নি।
কিন্তু তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের কথা ঘোষণা করে অমিত শাহের মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, গ্রিন জোনে ২ গজ বা ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে খুলতে পারে মদ, পান, গুটখা, সিগারেটের দোকান। তবে কখনওই যেন দোকানে ৫ জনের বেশি না থাকেন।
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ দাবি করেছিলেন, করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলোর জলের মতো টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে আর্থিক সাহায্য করছে না। আবার বরাবর রাজ্যের হাতে থাকা আবগারিও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের বলে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন। ফলে মদের দোকান খোলার জন্য দরকার কেন্দ্রের ছাড়পত্র। মদ বিক্রি করে প্রতিটি রাজ্যেরই বিপুল রাজস্ব আয় হয়। কিন্তু করোনা অতিমারির সময় সেই পথও বন্ধ। ফলে কেন্দ্রের উপর ক্রমেই চাপ বাড়ছিল।
দেখে নিন, বাংলার কোন কোন জেলা রয়েছে গ্রিন জোনে?
এদিকে কলকাতায় মদের দোকান না খুললেও পুলিশের তরফে মদের হোম ডেলিভারির একটি ব্যবস্থা করার চেষ্টা হয়েছিল বলে শোনা যায়। যদিও তা দিনের আলো দেখেনি। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশের পরও কলকাতার খুশির কারণ নেই। কারণ মদের দোকান খুলবে কেবলমাত্র গ্রিন জোনে এবং কলকাতা আপাতত রেড জোনে।
Comments are closed.