আমার লড়াই মানুষের স্বার্থে, সহমত হলে সঙ্গে আসুন, না হলে বিদায় নিন, কাউন্সিলর-বৈঠকে বার্তা মমতার, বললেন, দলে চোরেদের স্থান নেই

যেন রামধনু পার্টি হয়ে গিয়েছে। কখনও সিপিএম, আবার কখনও বিজেপিতে নাম লেখানো চলছে। এঁদের কোনও আদর্শ নেই। আমি লড়াই করি মানুষের জন্য, সহমত হলে সঙ্গে আসবেন। নজরুল মঞ্চে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে বললেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি মমতার ঘোষণা, যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে যেতে চান, তাড়াতাড়ি যান। একজন নেতা চলে গেলে ৫০০ জন নেতা তৈরি করব, কিন্তু চোরেদের আর স্থান নেই দলে, মন্তব্য মমতার।
লোকসভার ফলাফলে রাজ্যের বহু পুরসভাতেই বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। এই প্রেক্ষিতেই এবার তৃণমূলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মমতা। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের প্রায় ৩ হাজার কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে মমতা বলেন, চুরি করে ধরা পড়লেই, গা বাঁচানোর জন্য অন্য দলে গিয়ে নাম লেখাচ্ছেন কয়েকজন নেতা। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ‘এখন নতুন ঢঙ তৈরি হয়েছে, চুরি করলেই অন্য দলে পালিয়ে যান কিছু নেতা।’ নিজেদের পরিবারের লোকের নামেও সরকারি সম্পত্তি লিখিয়ে নিয়েছেন কেউ, আবার কেউ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষকে পাইয়ে দিয়ে বিনিময়ে টাকা নিয়েছেন। মমতা বলেন, এঁরা কেউ পার পাবেন না। দলীয় কাউন্সিলরদের কড়া বার্তার পাশাপাশি, নজরুল মঞ্চের সভায় দাঁড়িয়ে দলের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কথাও তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোয়াপাড়ায় মৃত বিকাশ বসুর স্ত্রী মঞ্জু বসুকে টিকিট না দিয়ে তাঁর খুনে অভিযুক্তদের টিকিট দেওয়া তাঁদের ভুল হয়েছিল, বলেন তৃণমূল নেত্রী। এবার থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে নয়, পারফরমেন্সের বিচারে ভোটে লড়ার টিকিট দেওয়া হবে, বলে জানান তিনি।
নজরুল মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতার বার্তা, ‘মানুষের গালাগাল শুনতে হয়, তাতে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় না, লড়তে হলে ফেস করতে শিখুন’। পাশাপাশি উপস্থিত কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, নির্বাচনের নামে চিটিংবাজি হয়েছে। আমরা আগে বুঝেছি, অন্যরা পরে বুঝবেন।

Comments are closed.