‘সারদা, নারদা, হাওয়ালায় যুক্তকে পাশে নিয়ে মিটিং করছেন, আবার বড় বড় কথা’, মোদীর সভায় মুকুলের উপস্থিতি নিয়ে সোচ্চার মমতা

এতদিন নাম না করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে গদ্দার বলে সম্বোধন করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুকুলের সঙ্গে সারদা, নারদা ইস্যুকে জড়িয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচারে রবিবার মমতা সরাসরি মোদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সারদা, নারদা, হাওয়ালায় অভিযুক্তকে পাশে নিয়ে মিটিং করছেন! চোর, ডাকাত, গুণ্ডাদের বিজেপি আশ্রয় দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন মমতা।
এদিন কোচবিহারে নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর মঞ্চে তাঁর পাশেই উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়। নির্বাচনী সমাবেশে আগের দিন শিলিগুড়ির মতোই মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূলকে আক্রমণ করেন মোদী। রাজ্যে মমতার সাম্রাজ্য ডুবতে বসেছে বলেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপরই আলিপুরদুয়ারের মিটিংয়ে সারদা-নারদা প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, সারদা, নারদাতে মূল অভিযুক্তকে পাশে নিয়ে মিটিং করছেন। যাঁকে পাশে নিয়ে মিটিং করছেন তিনি হাওয়ালাতেও যুক্ত, আবার বড় বড় কথা। মুকুলের নাম না করে তাঁকে গদ্দার সম্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যত সব চোর, ডাকাত গিয়ে জড়ো হয়েছে বিজেপিতে। তৃণমূলের কেউ চিট ফান্ডে যুক্ত নয় দাবি করে মমতা বলেন, ২০১৪ সালে এই অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৬ তেও একই অভিযোগ করেছিলেন। আবার এখন এক কথা বলা হচ্ছে। প্রতিবার ভোটের আগে এই কথা মনে পড়ে। এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে মমতার চ্যালেঞ্জ, এখনও কিচ্ছু প্রমাণ করতে পারেননি, জীবনেও পারবেন না।
পাশাপাশি, কলকাতা এবং সল্টলেকের সিপি সহ পুলিশ কর্তাদের অপসারণ নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ভাবছেন, দু’জন অফিসারকে সরিয়ে জিতে যাবেন? এর আগেও ভোটে অফিসারদের সরিয়ে লাভ হয়নি বলে নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Comments are closed.