মমতা: মিডিয়া আপনাদের কথা বলবে না, সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের দিয়ে পোস্ট করান, প্রতিবাদই একমাত্র হাতিয়ার

সংবাদমাধ্যম বিক্রি হয়ে গিয়েছে। মানুষের কথা বলার সময় ওদের নেই। তাই নিজের কথা জানাতে এবার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের দাওয়াই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, আপনাদের দুর্দশার কথা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন। কারণ ট্র্যাডিশনাল মিডিয়া আপনাদের কথা বলবে না।

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শ্রমিক সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশকে তীব্র কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বললেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের অ্যাজেন্ডা নিয়ে চলবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব মানুষের কথা তুলে ধরা। ইদানীং সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ সেই দায়িত্বের কথা ভুলে গিয়ে, কেবল টিআরপির পিছনে দৌড়চ্ছে। মানুষের কথা কেউ বলছে না। মমতার কথায়, বর্তমানে মিডিয়ার সিংহভাগের ভূমিকা বোবা-কালার চেয়েও অধম। রাজনৈতিক নেতাদের শেখানো বুলি তোতাপাখির মতো আওড়ে যাচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বলেন, নিজেদের দুর্দশার কথা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কথা। পাশাপাশি কিছু সাবধানতা অবলম্বনের কথাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনি যদি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেন, তাহলে আপনার চাকরি নিয়ে টানাটানি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আত্মীয়-পরিজন-বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে পোস্ট করান, বলেন মমতা। তাঁর কথায়, এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে প্রতিবাদই একমাত্র হাতিয়ার।

নাগরিকপঞ্জি গুজবে বাংলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে মিডিয়া চালানো হচ্ছে। ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর খবর পরিবেশন করার ফল ৬ টি তাজা প্রাণের অকালে চলে যাওয়া। কোন উদ্দেশে মিডিয়ার একাংশ এই রাজনৈতিক ছকে ঢুকে পড়ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ফের একবার জানিয়ে দেন, এরাজ্যে এনআরসি হবে না, সারা দেশের কোথাও আর এনআরসি হবে না। রাজ্যে ভোটার লিস্টের কাজ চলছে। এর সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই বলেও এদিন সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কাগজপত্র নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও দরকারি সার্টিফিকেট বা কাগজ হারিয়ে গেলে দুশ্চিন্তা না করে থানায় এফআইআর করুন। রাজ্য সরকার সবরকমভাবে মানুষের পাশে থাকবে, বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Comments are closed.