কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে পথে নামবেন মমতা, কলকাতার পাশাপাশি দিল্লি-মুম্বই-চেন্নাইয়েও ধর্না কর্মসূচি

বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাকে বেসরকারিকরণ এবং বিলগ্নীকরণের বিরুদ্ধে এবার আন্দোলনে পথে নামার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে শ্রমিক সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী ১৮ ই অক্টোবর দুপুর ২ টোয় শিয়ালদা থেকে মহামিছিল শুরু হবে। শেষ হবে ফেয়ারলি প্লেসে। সেই মিছিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর কাশিপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি এবং ২৭ তারিখ কোল ইন্ডিয়ার দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় মিছিল-সমাবেশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আন্দোলনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ারও ডাক দিয়েছেন মমতা। দিল্লিতে একই ইস্যুতে টানা ৪৮ ঘণ্টা ধর্না কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দাবিদাওয়া তাঁদের কানে পৌঁছে দেওয়া যায়। পাশাপাশি মুম্বই এবং চেন্নাইয়েও একই দাবিতে ধর্না করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, প্রতিরক্ষা, ব্যাঙ্কিং, এয়ার ইন্ডিয়া, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ থেকে জীবন বিমা, প্রতিটি ক্ষেত্রে অবিচার করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে পুরোদস্তুর আন্দোলনের ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী।

এজন্য একটি কোর কমিটিও তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সামগ্রিকভাবে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে।

নেতাজি ইন্ডোরের শ্রমিক সমাবেশে দাঁড়িয়ে মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো বিক্রি কিংবা বন্ধ করে দিতে দানবীয় তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে বলে আওয়াজ তোলেন মমতা। তাঁর কথায়, আপনাদের সাহসী হতে হবে। আপনারা সাহস দেখালে, আমি দুঃসাহসী হয়ে আপনাদের পাশে থাকব। কিন্তু ভয় পেয়ে গুটিয়ে গেলে আমাকে পাবেন না। এই লড়াইয়ে আমি আপনাদের পাশে আছি। আমাদের জয় কেউ আটকাতে পারবে না। বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Comments are closed.