পাকিস্তানের নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে ভাঙচুরের ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।শনিবার ট্যুইটারে মমতা লেখেন, ওই হিংসার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মানবতাকে সবার উর্ধ্বে রাখা উচিত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার লাহোরের শিখ মন্দিরে পাথর ছোড়া ও ভাঙচুর নিয়ে পাক সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে ভারত। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের গুরুত্ব নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের কথায়, মুসলিম অধ্যুষিত পাক মাটিতে সংখ্যালঘুরা কীভাবে অত্যাচারিত হচ্ছেন, তাঁদের ধর্মবিশ্বাসে কীভাবে আঘাত হানা হচ্ছে, শুক্রবার নানা সাহিব গুরুদ্বারের ঘটনা থেকেই তা পরিষ্কার।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এক মুসলিম যুবক ও শিখ মহিলার বিয়ে নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই শিখ মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে ওই শিখ পরিবারটির অভিযোগ, মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যুবক তাকে ধর্মান্তরিত করে। এই নিয়ে নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে দুই তরফের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাসান নামে এক যুবক বছর আঠারোর জগজিৎ কৌরকে গত সেপ্টেম্বরে অপহরণ করে বিয়ে করে। এরপর তাকে ধর্মান্তরিত করা হয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হাসানকে গ্রেফতার করা হলে উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার ওই যুবকের পরিবারের লোকেরা গুরু নানকের জন্মস্থান, নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে অবস্থান শুরু করে বলে খবর। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে গোলমাল এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর ট্যুইটারে লেখেন, এটাই হল পাকিস্তান। যেখানে জোর করে একটি মেয়েকে ধর্মান্তরিত করাকে সমর্থন করে নিরীহ মানুষদের উপর আক্রমণ করা হয়। এসব বন্ধ করতেই ভারত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কথা বলছে। পাক প্রধানমন্ত্রী ও সেনাকেও তীব্র আক্রমণ করেন গৌতম গম্ভীর। অন্যদিকে লাহোরে গুরুদ্বারে আক্রমণ ও ধর্মান্তরের অভিযোগের ঘটনায় পাক সরকারকে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ।