এলাকার পর এলাকা ধ্বংস, বাংলার সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে, দেশবাসীর কাছে বাংলার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান মমতার

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। জল নেই, বিদ্যুৎ নেই। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসেব পেতে সময় লাগবে। হতাহতের সংখ্যাও এখনও সঠিক জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমপান চলে যাওয়ার পর রাতে নবান্নের ওয়ার রুমে বসে সাংবাদিকদের এমনই বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দৃশ্যতই বিধ্বস্ত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এত বড় আকার ছিল যে যাওয়ার পথে লেজের ঝাপটায় সব শেষ করে দিয়ে গিয়েছে। খুব মন খারাপ।

বুধবার সকালেই নবান্নের দোতলায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ওয়ার রুমে ঢুকে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাজির ছিলেন রাজ্যের তাবড় আমলারাও। সারাদিন ধরে চলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ। রাতে মমতা নবান্নে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর আহ্বান, রাজনীতি নয়। বাংলা, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সহায়তা করুন। বাংলাকে ধ্বংস থেকে ফের ঘুরে দাঁড়াতে দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন পরিস্থিতি ক্রমেই যখন খারাপ দিকে যাচ্ছে, সরাসরি মমতা ব্যানার্জিকে ফোন করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। দু’জনের মধ্যে কথা হয়। এদিকে তার মধ্যেই একের পর এক জেলা থেকে আসছে বিপর্যয়ের খবর। নবান্নের বিল্ডিংও অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। বৃহস্পতিবার বিকেলে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। তখন হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যেতে পারে।

মমতা বলেন, পুরো ঝড়টা বাংলার উপর দিয়ে গেল। করোনাভাইরাসের জন্য এমনিতেই অর্থনীতি স্তব্ধ। বোঝার উপর শাকের আঁটির মতো এবার আমপানের ভয়ঙ্কর তাণ্ডব। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এলাকার পর এলাকা ধ্বংস। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। প্রশাসন আগেই ৫ লক্ষ মানুষকে সরিয়েছিল। তাই প্রাণহানি হয়ত কম হয়েছে। কিন্তু বাদবাকি সব শেষ। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছতে সরকারি কর্মীদের সময় লাগবে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাননি মমতা। তিনি বলেন, এখনও সব খবর এসে পৌঁছয়নি।

Comments are closed.