রাতে প্লাবনের আশঙ্কা, ভরা কোটালে ঘূর্ণিঝড়ের জেরেই ক্ষয়ক্ষতি বেশি, নবান্নে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

সরকারি হিসেব অনুযায়ী দু'দিনে সাড়ে ১৫ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করে ত্রান শিবিরে আশ্রয় দেওয়া গিয়েছে বলে জানান মমতা ব্যানার্জি

প্রায় ১ কোটি মানুষ ঘূর্ণিঝড় যশে ক্ষতিগ্রস্ত। ভেঙ্গে গিয়েছে ১৩৪ টি বাঁধ। ভরা কোটালে ঘূর্ণিঝড়ের জেরেই ক্ষয়ক্ষতি বেশি। খুব সতর্ক থাকতে হবে আজ সারা রাত। আসতে পারে প্লাবন। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

ঘূর্ণিঝড়ে কিছু জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। যদিও ঝড়ের মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি হিসেব অনুযায়ী দু’দিনে সাড়ে ১৫ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করে ত্রান শিবিরে আশ্রয় দেওয়া গিয়েছে বলে জানান মমতা ব্যানার্জি। যার জেরে প্রাণহানি এড়ানো গেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

তবে ভরা কোটালের জেরে নদী ও সমুদ্রে ব্যাপক জলোচ্ছাস থাকবে বজায় থাকবে বলে সতর্ক করেছেন মমতা। নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার কথা কথাও জানিয়েছেন মমতা। যারা ত্রান শিবিরে আছেন তাদের আরও একদিন সেখানেই থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি জানান, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটি টাকা ত্রাণ শিবিরে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য ব্যয় করা হয়েছে।

চাষ এবং মাছ চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নোনা জল ঢুকে গিয়ে বিরাট অংশের চাষের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি হবে। গাছ লাগিয়ে নদীবাঁধকে আরও শক্তিশালী করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিদ্যাধরী বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা, বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আদি গঙ্গা উপচে পড়ায় রাসবিহারী, ভবানীপুর, চেতলা, টালিগঞ্জ সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমেছে। জমা জলা সরাতে কলকাতা পুরসভা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে তাই হেলিকপ্টার উড়তে পারবে না। তাই শুক্রবার তিনি হেলিকপ্টারে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে বেরোবেন।

এদিন জেলাশাসক, পুলিশকর্তা, NDRF, সহ সকলকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

Comments are closed.