জনপরিষেবামূলক কাজের নিরিখে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জনপরিষেবামূলক প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ‘ভারতের সেরা মুখ্যমন্ত্রী’র শিরোপা পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৮ সালের ‘স্কচ চিফ মিনিস্টার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেলেন মমতা। এর আগে তাঁর কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল। এরপরে, রাজ্যের নারী শক্তিকে তুলে ধরতে আরও বেশ কয়েকটি জনমোহিনী প্রকল্প তৈরি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন রাজ্যবাসী। রাস্তা-ঘাট থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে কৃষি প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সমস্ত প্রকল্পের ফল হাতে-নাতে পেয়েছেন রাজ্যের মানুষ। একটি রাজ্যকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, সেজন্য দেশের কাছে নজির সৃষ্টি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। তারই স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিনব প্রকল্প এবং সেগুলির বাস্তবায়নের জন্য ৩১ টি ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে তাঁর সরকার।
১৯৭৭ সাল থেকে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সার্বিক বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করছে জাতীয় নিরীক্ষক সংস্থা স্কচ গোষ্ঠী। পুরস্কারের ক্ষেত্রে দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পারফরমেন্সের সমীক্ষা করা হয়। এবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা প্রশাসনিক ও জনপরিষেবামূলক প্রকল্পের মূল্যায়ন করে দেশের সেরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে।
১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ অর্থ খরচের জন্য স্কচ গোষ্ঠীর বিচারে দেশে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গ। মমতার আমলে কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ উন্নয়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পরপর পাঁচবার ‘কৃষি কর্মন’ পুরস্কার পেয়েছে। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতায়নের জন্য পেয়েছে ‘আইপিপিএআই’ সম্মান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের অবদানের নিরিখে পুরস্কৃত হয়েছেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এবং কেন্দ্রের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। নাইডুকে সম্মানিত করা হয়েছে ‘স্কচ স্প্রিন্টার অব দি ইয়ার’ পুরস্কারে। সুরেশ প্রভু জিতেছেন ‘স্টেডি রিফর্মার’-এর শিরোপা।

Comments are closed.