৪০ তৃণমূল বিধায়ক ভোটের পর বিজেপিতে, নজিরবিহীন ঘোষণা মোদীর, ঘোড়া কেনাবেচা করতেই রাজ্যে, একজন কাউন্সিলরও যাবেন না, পাল্টা জবাব তৃণমূলের

তৃণমূলের অন্তত ৪০ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। ২৩ শে মের পর তাঁরা সবাই যোগ দেবেন বিজেপিতে। শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে নজিরবিহীন ঘোষণা নরেন্দ্র মোদীর। জবাব দিতে দেরি করল না তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী ভোট প্রচারে নয়, ঘোড়া কেনাবেচা করতেই রাজ্যে এসেছেন, সরাসরি আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি একজন কাউন্সিলরও যে বিজেপিতে যাচ্ছেন না তা নিশ্চিত বলে দাবি করে, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

এদিন শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে মমতার মিষ্টি-কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেন মোদী। তিনি বলেন, যে মাটিতে রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র বসু, শ্যামাপ্রসাদের মতো মহাপুরুষের পায়ের ধুলো পড়েছে, সেই মাটি দিয়ে তৈরি মিষ্টি তাঁর কাছে প্রসাদের মতো। রাজ্যবাসীর মাথা লক্ষ্য করে তৃণমূল পাথর ছুড়ছে বলে মন্তব্য করে মোদীর খোঁচা, মিষ্টিতে বাংলার পাথর ভরে দেবেন বলেছেন, তাও ভালো সেগুলো অন্তত রাজ্যবাসীর মাথায় পড়বে না। আমি যত্ন করে রেখে দেব, বলেন মোদী।

অন্যদিকে, বনগাঁর স্বরূপনগরের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সৌজন্যের ধার ধারেন না মোদী। মমতার দাবি, শুধু মোদী নন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকেও তিনি উপহার পাঠাতেন। অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও তিনি দেখতে যান। মমতার কথায় এটাই বাংলার সৌজন্য, সংস্কৃতি। যদিও ফের একবার প্রধানমন্ত্রীকে মাটি-কাঁকর মেশানো মিষ্টিই ‘উপহার’ হিসেবে পাঠাবেন বলে জানান মমতা।
শ্রীরামপুর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, ভাইপো অভিষেককে এ রাজ্যের গদিতে বসাতেই দিল্লি যাওয়ার ‘বাহানা’ করছেন ‘দিদি’। তবে দিল্লি অনেক দূর বলে মমতাকে কটাক্ষ করেন মোদী। পায়ের তলা থেকে মাটি সরছে মমতার, তাই ভয় পেয়ে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করছেন তাঁরা, দাবি প্রধানমন্ত্রীর। মমতা রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ করেন মোদী। তিনি বলেন, ভুল স্বীকার করলে ভারতবাসী তাঁকে মাফ করে দেন, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকের কোনও ক্ষমা নেই বলে মন্তব্য তাঁর।
স্বরূপনগরের সভা থেকে মমতার কটাক্ষ, গত পাঁচ বছরে দেশজুড়ে কৃষক আত্মহত্যা, বেকারত্ব, দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি আর সংখ্যালঘুদের হত্যাই মোদীর ‘আচ্ছে দিন’। মোদীকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, টাকা ছড়িয়ে, এজেন্সি দিয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন, আর লাগাতার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।
শ্রীরামপুরের সভা থেকে মোদীর অভিযোগ, দুর্নীতিই সঙ্গী তৃণমূল সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, সিন্ডিকেট বা তৃণমূলের গুণ্ডাদের টাকা না দিয়ে কোনও কাজ হয়নি এ রাজ্যে। পাশাপাশি এদিনও শ্রীরামপুর ও জগদ্দলের সভা থেকে ফের সেনা বাহিনীর অপারেশনের কথা তুলে ধরে মোদীর কটাক্ষ, বাহিনীর বিক্রম নিয়ে কেন প্রশ্ন তুলছেন মমতা? মোদীর স্লোগান, এবার হোক চুপচাপ, পদ্মে ছাপ।

Comments are closed.