পুলিশ গুলি করলে আমরা তো মিষ্টি খাওয়াবো না, মিছিলকারীর সবাই গান্ধীজি নাও হতে পারেন! নবান্ন অভিযান নিয়ে হুমকি সায়ন্তনের

‘পুলিশ আক্রমণ করলে আমরা তো আর মিষ্টি খাওয়াব না।’ এই মন্তব্যের মাধ্যমেই বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের সুর বেঁধে দিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানো, বেকারদের কর্মসংস্থান সহ সাত দফা দাবিতে ৮ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চা। কিন্তু কেমন হতে পারে সেই অভিযান? তার জবাবেই সায়ন্তন বসু বলেন, ‘বিজেপি গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার ভাঙতে চায় না। কিন্তু, তা একতরফা ভাবে মানাও সম্ভব নয়। পুলিশের আচরণের উপরই নির্ভর করবে আমাদের আচরণ। পুলিশ গুলি করলে আমরা তো মিষ্টি খাওয়াব না।’ বৃহস্পতিবার বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে দলের কর্মীদের মেজাজ কেমন থাকবে তা যেন নির্ধারণ করে দিলেন সায়ন্তন বসু। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাজার হাজার যুবক হাঁটবেন এই অভিযানে। তাঁরা সকলে গান্ধীজি নাও হতে পারেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কর্মসূচির আগেই এই ধরনের মন্তব্য করে দলের যুব কর্মীদের ‘হিংসা’য় উস্কানি দিয়ে রাখলেন সায়ন্তন।

ঠিক হয়েছে ৪টি বড় মিছিল থাকবে বৃহস্পতিবার। বিজেপির রাজ্য দফতর, হেস্টিংস কার্যালয়, হাওড়া ময়দান এবং সাঁতরাগাছি থেকে চারটি মিছিল নবান্নের অভিমুখে যাবে। দলের রাজ্য দফতর থেকে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হেস্টিংসের মিছিলের দায়িত্বে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, হাওড়া ময়দান থেকে মিছিলের সামনে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য ও রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান এবং সাঁতরাগাছির মিছিলে থাকবেন সায়ন্তন বসু নিজে।

ছোট-বড়ো মিছিল, উত্তেজনা সৃষ্টি করে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যতিব্যস্ত রাখবে বিজেপি। নেতৃত্বের ‘ইন্ধনে’ ছড়িয়ে দেওয়া হতে পারে উত্তেজনা। এর ফাঁকেই নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছানোর ছক রয়েছে বিজেপির।

 

 

Comments are closed.