প্রয়াত মাও নেতা পতিতপাবন হালদার, ১৪ বছর জেল খেটে ২ মাস আগে বেকসুর খালাস পান

মৃত্যু হল পতিতপাবন হালদারের। মাত্র দুমাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। তার আগে ১৪ বছর জেলবন্দি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেয় আদালত। বুধবার সকালে যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি।

২০০৫ সালের ২১ শে মে, হুগলির হিন্দ মোটর থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার হন সুশীল রায় এবং পতিতপাবন হালদার। তার ৯ দিন পর একই অভিযোগে কলকাতার বড়বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার হন সন্তোষ দেবনাথ। পুলিশ অভিযোগ আনে, তাঁরা সিপিআই মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ঝাড়গ্রাম দায়রা আদালত ৩ জনকেই যাবজ্জীবনের সাজা শোনায়। সুশীল রায় ও পতিতপাবন হালদারকে রাখা হয় দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এবং সন্তোষ দেবনাথকে রাখা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। তারপর থেকে এই দুই জেলেই থাকছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে ২০১৪ সালে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই মৃত্যু হয় সুশীল রায়ের।

ঝাড়গ্রাম দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ফের আদালতে আবেদন করেন তাঁরা। সেই মামলারই বিচার পর্ব শেষে ৩ জনকেই বেকসুর খালাস করার রায় দেয় আদালত। মাত্র দু মাস আগেই জেল থেকে ছাড়া পান।

জেল থেকে বেরিয়েও সুস্থ ছিলেন না পতিতপাবন হালদার। তাঁকে ভর্তি করা হয় কেপিসি হাসপাতালে। বুধবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Comments are closed.