করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের প্রশংসা পিআর সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি চেয়ারম্যানের

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারা দেশে চলছে লকডাউন। এই নিয়ে তৃতীয় দফায় বাড়ানো হল লকডাউন। লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেইসব এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার।

এই পরিস্থিতিতে করোনা রুখতে রাজ্যের ভুমিকার প্রশংসা করার পাশাপাশি এবার সরকারকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও করোনাভাইরাস সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর বেশ কয়েকটি পথ বাতলে দিল পাবলিক রিলেশনস সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া বা পিআরএসআই।

পিআরএসআই কলকাতা বিভাগের চেয়ারম্যান সৌম্যজিৎ মহাপাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে লেখা একটি চিঠিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ও সবাই যাতে লকডাউন মেনে চলেন, তার জন্য বেশ কয়েকটি পথের কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, এতদিন যেভাবে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষকে করোনাভাইরাস ও তা থেকে বাঁচতে লকডাউনের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এবার সেই পদ্ধতিতে কিছু বদল আনা যেতে পারে। কারণ বাড়ির ভেতরে থাকা কিংবা নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার মত বিষয় এখন সবার জানা। তাই সেক্ষেত্রে এ বিষয়ে নতুন কোনও কথা বলা যেতে পারে।

চিঠিতে সৌম্যজিৎ মহাপাত্র বলেছেন, মানুষকে সরকারের তৈরি নিয়মগুলি, যেমন বাড়ির ভেতরে থাকা, মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও দোকানে ভিড় না করার মতো বিষয়গুলি অবশ্যই মনে করিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে বলতে হবে, কীভাবে মানুষ নিজের অজান্তেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই সাবধানে থাকা এই মুহূর্তে কতটা দরকারি।

পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে যে আজকের কষ্ট আগামীদিনে লাভজনক প্রমাণিত হবে। এই বার্তাগুলি স্থানীয় কাউন্সিলর, স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের সাহায্যে সাধারণ মানুষের কানে পৌঁছে দিতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

 

Comments are closed.